যখন তোমাদের কেউ সালাতে দাড়ায়, অবশ্যই রহমত তার সম্মূখীন হয়। সতুরাং সে যেন পাথর দূর না করে।

যখন তোমাদের কেউ সালাতে দাড়ায়, অবশ্যই রহমত তার সম্মূখীন হয়। সতুরাং সে যেন পাথর দূর না করে।

আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ হিসেবে বর্নিত: যখন তোমাদের কেউ সালাতে দাড়ায়, অবশ্যই রহমত তার সম্মূখীন হয়। সতুরাং সে যেন পাথর দূর না করে। আর মুয়াইকীব রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত, যে লোকটি সেজদার স্থানে মাটি সমান করে তার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি করতেই তবে যেন একবার করে।

[সহীহ] [এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে: যখন তোমাদের কেউ সালাতে দাড়ায়, অর্থাৎ যখন সালাতে প্রবেশ করে এবং তাকবীরে তাহরীমাহ বাঁধে তাকে যেন নিষেধ করা না হয়। তার বাণীতে নিষেধের অর্থ: সামান্য কারণে সালাত থেকে যে বিমুখ না থাকে। কারণ, তাতে সালাতের মনোযোগ নষ্ট হয়। তখন সালাতের মনোযোগী হওয়া যা রহমতের কারণ তা ছুটে যাবে। আর এটি তখন যখন তা সেজদার স্থান পরিস্কার করার জন্য না হবে। অন্যথায় প্রয়োজন অনুযায়ী একবার করাতে কোন অসুবিধা নেই। আর এ কথা অজানা নয় যে, এখানে পাথর দ্বারা ছোট পাথর উদ্দেশ্য। আর পাথরের কথা উল্লেখ করা অভ্যাগত। কারণ, তখন তাদের মসজিদসমূহের বিছানায় পাথরই হতো। সুতরাং এ মাসআলার ক্ষেত্রে মাটি বালি ও পাথরের মধ্যে কোন প্রার্থক্য নেই। আর মুয়াইকীব রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে যে লোকটি সেজদার স্থানে মাটি সমান করে তার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি করতেই হয় তবে যেন একবার করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকটি সম্পর্কে বলেন, অর্থাৎ সে লোকটির অবস্থা সম্পর্কে যে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে যে, সে তার সেজদা করার স্থানে তার ওপর সেজদা করার জন্য মাটি দূর করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উত্তর দেন যে, যদি তোমার করতেই হয়, অর্থাৎ প্রয়োজন দেখা দেয়, তাহলে তুমি একবার করো তার বেশি নয়। পাথর সরানো মাকরূহ। কিন্তু যদি পাথরের কারণে সেজদা করতে অসুবিধা হয় যেমন, উচা নিচা বেশি হয়ে থাকার কারণে তার ওপর ফরয আদায় করা পর্যন্ত কপাল রাখা যাচ্ছে না, তখন একবার বা দুইবার পাথর দূর করবে। কারণ, কতবার করবে সে বিষয়ে দুটি বর্ণনা আছে কোন বর্ণনায় একবার আবার কোন বর্ণনায় দুইবার। তবে দুই বর্ণনার মধ্যে সর্বাধিক স্পষ্ট হলো একবার তার বেশি নয়। নিষেধ করার কারণ তাঁরই বাণী “কারণ, রহমত তার মুখোমুখি” অর্থাৎ, তার ওপর রহমত নাযিল হয় এবং তার দিকে রহমত অগ্রসর হয়। এটিই নিষেধের কারণ। সুতরাং কোন জ্ঞানী লোকের জন্য উচিত হবে না যে, এ নিকৃষ্ট কাজের মাধ্যমে এ মহান নি‘আমাতের শুকরিয়া আদায় করা ছেড়ে দেওয়া। এটি বলেছেন আল্লামা তীবী রহ। আর আল্লাম শাওকানী রহ. বলেন, এটিকে কারণ সাব্যস্ত করা দ্বারা প্রমাণিত হয়, পাথর সরানো নিষিদ্ধ হওয়ার হিকমত হলো যাতে তার অন্তর এমন কোন বিষয় নিয়ে ব্যস্ত না হয়, যা তাকে তার সামনে আগত রহমত থেকে অমনোযোগী করে; যার ফলে তা থেকে তার পাওনা ছুটে যায়।

التصنيفات

মুসল্লিদের বিবিধ ভুল