আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে কুরআনের ধারকগণ! তোমরা…

আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে কুরআনের ধারকগণ! তোমরা বিতির পড়। নিশ্চয় আল্লাহ বিতর (বিজোড়) তিনি বিতরকে (বিজোড়কে) ভালবাসেন। সুনানে আবূ দাউদ

আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হে কুরআনের ধারকগণ! তোমরা বিতির পড়। নিশ্চয় আল্লাহ বিতর (বিজোড়) তিনি বিতরকে (বিজোড়কে) ভালবাসেন।”

[সহীহ] [এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

হাদীস শরীফটিতে আল্লাহর পরিবার ও বিশেষ লোক ভুক্ত আহলে কুরআনকে আদেশ করা হয়েছে যে, তারা যেন বিতিরের সালাত আদায় করে। কারণ, আল্লাহ তার সত্ত্বা, সিফাত ও কর্মসমূহে এক ও একলা। তিনি বেজোড়কে পছন্দ করেন। আহলে কুরআন দ্বারা উদ্দেশ্য সমগ্র মু’মিন; যারা কুরআন পড়েছে ও যারা পড়েনি সবাই। যদিও যে পড়েছে সে তার কুরআন মুখস্থের কারণে এ সম্বোধনের বেশী উপযুক্ত। খাত্তাবী বলেছেন, তাদের দ্বারা উদ্দেশ্য কারী ও হাফেযগণ। তাদের মর্যাদা ও তাদের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বিশেষভাবে তাদের উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং আহলে কুরআনদের উচিত হলো বিতিরের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া, যদিও তা সবার কাছ থেকেই কাম্য। কিন্তু অন্যদের ওপর কুরআন ওয়ালাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কারণ, তারা হলো অনুকরণীয়। এ ছাড়াও তাদের কাছে রয়েছে ইলম যা তাদেরকে ইবাদত ও নৈকট্যপূর্ণ কাজের দিকে আহ্বান করে যা অন্যদের কাছে নাই। সুতরাং তাদের ক্ষেত্রে আদেশটি অন্যদের তুলনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ। মিনহাতুল আল্লাম।

التصنيفات

রাতের নফল সালাত