তোমাদের কেউ যখন কোনো বস্তুর দিকে ফিরে সালাত আদায় করে যা তাকে মানুষকে থেকে আড়াল করে, আর কেউ তার সামনে দিয়ে যেতে চায়,…

তোমাদের কেউ যখন কোনো বস্তুর দিকে ফিরে সালাত আদায় করে যা তাকে মানুষকে থেকে আড়াল করে, আর কেউ তার সামনে দিয়ে যেতে চায়, তাহলে সে তাকে বাধা দিবে, সে যদি না মানে, তবে সে ব্যক্তি (মুসল্লী) তার সাথে লড়াই করে, কেননা সে শয়তান।”

আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত: “তোমাদের কেউ যখন কোনো বস্তুর দিকে ফিরে সালাত আদায় করে যা তাকে মানুষকে থেকে আড়াল করে, আর কেউ তার সামনে দিয়ে যেতে চায়, তাহলে সে তাকে বাধা দিবে, সে যদি না মানে, তবে সে ব্যক্তি (মুসল্লী) তার সাথে লড়াই করে, কেননা সে শয়তান।”

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শরী‘আত আমাদের আত্মরক্ষা ও সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে। দীন ও দুনিয়ার সবচেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সালাত। এ জন্যই প্রজ্ঞাবান শরী‘আত প্রণেতা আমাদেরকে সালাতের প্রতি যত্নবান হতে এবং যখন সালাত আরম্ভ করি মানুষ থেকে আড়াল হওয়ার জন্য সুতরা প্রতিস্থাপন করার নির্দেশ দেন। যাতে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করা দ্বারা তার সালাতে—তথা যখন সে তার রবের সাথে মুনাজাত করতে দণ্ডায়মান হয়—কোন বিঘ্ন না ঘটে। যখন কোন ব্যক্তি তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে চায় তখন প্রথমে তাকে হালকাভাবে বাঁধা দেবে যদি সহজ ও হালকাভাবে বাঁধা সে না মানে তখন বুঝতে হবে সে নিজেই তার সম্মানহানি করল এবং সীমালঙ্গনকারী হলো। তখন তার দুশমনকে থামানোর জন্য একমাত্র উপায় হলো তাকে প্রতিহত করতে হাত দ্বারা যুদ্ধ করা। কারণ, তার এটি শয়তানের অপকর্মসমূহের একটি অপকর্ম, যারা মানুষের ইবাদত নষ্ট করে এবং তাদের সালাতে বিঘ্ন ঘটায়।

التصنيفات

সালাতের সুন্নতসমূহ