إعدادات العرض
তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! তোমরা অবশ্যই ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে, তা না হলে শীঘ্রই…
তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! তোমরা অবশ্যই ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে, তা না হলে শীঘ্রই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের উপর আযাব পাঠাবেন। অতঃপর তোমরা তাঁর কাছে দু‘আ করবে; কিন্তু তোমাদের দো‘আ কবুল করা হবে না।
হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, “তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! তোমরা অবশ্যই ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে, তা না হলে শীঘ্রই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের উপর আযাব পাঠাবেন। অতঃপর তোমরা তাঁর কাছে দু‘আ করবে; কিন্তু তোমাদের দো‘আ কবুল করা হবে না।”
[হাসান] [এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Bahasa Indonesia Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी Français ئۇيغۇرچە Kurdî Kiswahili Português සිංහල Русскийالشرح
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: “তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে”! এটি শপথ বাক্য যার দ্বারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নামে শপথ করছেন। কারণ, তিনিই এমন সত্বা যার হাতেই বান্দাদের জীবন। তিনি যদি চান হিদায়েত দেন যদি চান গোমরাহ করেন যদি চান মুত্যু দেন আর যদি চান বাচিয়ে রাখেন। সুতরাং হিদায়াত দেওয়া বা গোমরাহ করা, জীবিত রাখা বা মৃত্যু দেওয়া, হস্তক্ষেপ করা বা পরিচালনা সবই আল্লাহর হাতে। যেমন, আল্লাহ বলেন, “কসম নফসের এবং তিনি যা সুষম করেছেন। অতঃপর তিনি তাকে অবহিত করেছেন তার পাপসমূহ ও তার তাকওয়া সম্পর্কে”। (সূরা আশ-শামস: ৭-৮) সুতরাং জীবন কেবলই আল্লাহর হাতে। এ কারণেই তিনি শপথ করেছেন। আর তিনি অধিকাংশই এ বাক্য দ্বারা শপথ করতেন : “সে সত্তার কসম যার হাতে আমার নফস”। আবার কখনো তিনি বলতেন “যার হাতে মুহাম্মদের জীবন তার শপথ”। কারণ মুহাম্মাদের নফস সবচেয়ে পবিত্র নফস। তাই তিনি তার দ্বারা কসম খান। কারণ, তা ছিল পবিত্র আত্মা। অতঃপর তিনি যার ওপর শপথ করলেন তা উল্লেখ করেন। আর তা হলো, আমরা ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করার দায়িত্ব আঞ্জাম দেব, তা না হলে শীঘ্রই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পক্ষ থেকে আমাদেরকে আযাবে সামিল করে নেবেন। তখন আমরা তাকে ডাকবো সে আমাদের ডাকে সাড়া দেবেন না।