إعدادات العرض
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ঈদের দিন সালাতে উপস্থিত হলাম। তিনি আযান ও ইকামত ছাড়া…
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ঈদের দিন সালাতে উপস্থিত হলাম। তিনি আযান ও ইকামত ছাড়া খুতবার আগে সালাত আরম্ভ করলেন। তারপর বিলালের ওপর হেলান দিয়ে দাড়ালেন এবং তাকওয়া অবলম্বন করার নির্দেশ দিলেন এবং তার অনুকরণ করার ওপর উৎসাহ দিলেন। তিনি মানুষকে নসিহত করলেন এবং স্মরণ করিয়ে দিলেন।
জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ঈদের দিন সালাতে উপস্থিত হলাম। তিনি আযান ও ইকামত ছাড়া খুতবার আগে সালাত আরম্ভ করলেন। তারপর বিলালের ওপর হেলান দিয়ে দাড়ালেন এবং তাকওয়া অবলম্বন করার নির্দেশ দিলেন এবং তার অনুকরণ করার ওপর উৎসাহ দিলেন। তিনি মানুষকে নসিহত করলেন এবং স্মরণ করিয়ে দিলেন। তারপর তিনি মহিলাদের নিকট আসলেন তাদেরকেও ওয়াজ ও নসিহত করলেন এবং বললেন, তোমরা সাদাকাহ কর, কারণ, তোমাদের অধিকাংশই জাহান্নামের খড়ি। মহিলাদের মাঝখানে বসা রঙ্গীন চেহারা বিশিষ্ট এক নারী দাড়ালো এবং বলল, কেন? হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন, কারণ, তোমরা অভিযোগ বেশি কর এবং স্বামীর নাফরমানি করো। তিনি বলেন: তারপর তারা তাদের স্বর্ণ—অলংকার থেকে দান করা আরম্ভ করে। তারা বিলালের কাপড়ে তাদের কানের দুল এবং আংটি ডেলে দিলেন।
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी Tiếng Việt Hausa Kurdîالشرح
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথীদের নিয়ে ঈদের সালাত আযান ও ইকামত ছাড়া আদায় করলেন। সালাত থেকে ফারেগ হয়ে তিনি তাদের ভাষণ দিলেন এবং তাদের তিনি আল্লাহর আদেশসমূহ মানা এবং নিষেধসমূহ হতে বিরত থাকা এবং প্রকাশ্য ও গোপনে আল্লাহর আনুগত্য করাকে আবশ্যক মনে করা দ্বারা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করার নির্দেশ দিলেন। আর তাদের নির্দেশ দিলেন যাতে তারা আল্লাহর ওয়াদা ও হুমকিকে স্মরণ করে এবং ভয় ও আগ্রহের সাথে উপদেশ গ্রহণ করে। মহিলারা পুরুষ থেকে আলাদা স্থানে থাকার কারণে তারা খুতবা শুনতে ছিল না। আর তিনি ছোট বড় সবার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। সবার প্রতি তিনি দয়ালু ও মেহেরবান ছিলেন। তাই তিনি নারীদের দিকে বেলালকে নিয়ে অগ্রসর হলেন। তাদের তিনি ওয়াজ করলেন, স্মরণ করে দিলেন। তাদের তিনি বিশেষ নসিহত করলেন। তাদেরকে তিনি বর্ণনা করলেন যে, তারা অধিকাংশ জাহান্নামী। আর তা থেকে নাজাত পাওয়ার উপায় হলো সাদাকাহ। কারণ, তা রবের রাগকে নিবিয়ে দেয়। এ কথা শোনে মহিলাদের মাঝখানে বসা রঙ্গীন চেহারা বিশিষ্ট এক নারী দাড়ালো এবং নারীরা অধিকাংশ জাহান্নামী হওয়ার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল, যাতে তা ছেড়ে দিয়ে ক্ষতিপূরণ করতে পারে। তিনি বললেন, কারণ, তোমরা অভিযোগ ও অপছন্দনীয় কথা বেশি বল। তোমরা অসংখ্য কল্যাণকে ভুলে যাও যখন তোমাদের ওপর এহসানকারী একবার ভুল করে। যেহেতু সাহাবীগণের স্ত্রীগণ ভালো কর্মে প্রতি প্রতিযোগী ছিলেন এবং যে সব কর্ম আল্লাহকে ক্ষুব্ধ করে তা থেকে দূরে থাকার প্রতি প্রতিজ্ঞ ছিলেন তাই তারা তাদের হাতের চুড়ি এবং কানের বালি এবং আংটি ইত্যাদি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মহব্বতে এবং তার নিকট যা রয়েছে তার তালাশে বিলালের কোলে নিক্ষেপ করলেন।التصنيفات
ঈদের বিবিধ বিধান ও আদব