إعدادات العرض
মানুষ (দুনিয়াতে) যাকে ভালবাসে (কিয়ামতে) সে তারই সাথী হবে।
মানুষ (দুনিয়াতে) যাকে ভালবাসে (কিয়ামতে) সে তারই সাথী হবে।
আবূ মূসা আল-আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত: “মানুষ (দুনিয়াতে) যাকে ভালবাসে (কিয়ামতে) সে তারই সাথী হবে।” অন্য বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হল, “কোন ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়কে ভালবাসে, কিন্তু (আমলে) তাদের সমকক্ষ হতে পারেনি। তিনি বললেন, মানুষ যাকে ভালবাসে, সে তারই সাথী হবে।” ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়কে ভালবাসে, কিন্তু (আমলে) তাদের সমকক্ষ হতে পারেনি।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “মানুষ যাকে ভালবাসে, সে তারই সাথী হবে।”
[উভয় বর্ণনাসহ সহীহ] [উভয় বর্ণনা মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी Tiếng Việt සිංහල Kurdîالشرح
মানুষ আখিরাতে তাদের সাথে থাকবে দুনিয়াতে সে যাদের ভালো বাসে। হাদীসটিতে রাসূলগণ ও সালেহীনদের ভালোবাসা শক্তিশালী করা এবং তাদের মর্যাদা অনুযায়ী তাদের অনুসরণ করা এবং তাদের প্রতিপক্ষকে মহব্বত করা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহ প্রদান করা হয়। কারণ, মুহাব্বত করা প্রমাণ করে যে, যার প্রতি তার ভালোবাসা রয়েছে তার সাথে তার সম্পর্ক দৃঢ়, তার চরিত্রের সাথে তার সামঞ্জস্যতা রয়েছে এবং সে তার অনুসারী। মহব্বত এগুলোর দলিল, অনুরূপভাবে মহব্বত এসব করতে উদ্বুদ্ধ করে। এ ছাড়াও যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভালোবাসেন মনে রাখতে হবে, তাকে মুহাব্বাত করা তার নৈকট্য লাভের বড় একটি বিষয় ও মাধ্যম। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা শাকুর; যে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চায়, সে যে পরিমাণ খরচ করে আল্লাহ তাকে তার চেয়ে বহুগুণ বিনিময় দিয়ে থাকেন। আর যে যাকে ভালোবাসে সে তার সাথী হওয়ায় এ কথাকে বাধ্য করে না যে, তারা উভয় মর্যাদার দিক দিয়ে সমান হতে হবে। কারণ, নেক আমলসমূহের কারণে এবং লাভজনক ব্যবসার কারণে তারা বিভিন্ন স্তরের হতে পারে। ফলে সাথে হওয়া কোন একটি বিষয়ে একত্র হওয়া দ্বারাই সাব্যস্ত হয়, সবকিছুতে একত্র হওয়া জরুরি নয়। যদি সবাই জান্নাতের প্রবেশের সুযোগ লাভ করেন তাহলে একসাথে হওয়া হয়ে গেল। যদিও তাদের স্তর বিভিন্ন হয়ে থাকে। যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালো বাসেন অথবা কোন একজন মু’মিনকে ভালোবাসে তখন সে তার ভালো নিয়তের কারণে তার সাথে জান্নাতে থাকবে। কারণ, নিয়তই আসল এবং আমল নিয়তের অনুসারী। তাদের সাথে থাকা এ কথাকে বাধ্য করে না যে, তাদের সাথে তাদের স্তরে হতে হবে এবং সর্বদিক দিয়ে তাদের সমান বিনিময় হতে হবে।