অন্তরের আমলের ফযীলত

অন্তরের আমলের ফযীলত

1- “নিশ্চই হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট*, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে বহু অস্পষ্ট বিষয়, অধিকাংশ লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এ সব অস্পষ্ট বিষয় থেকে দূরে থাকে, সে তার দীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে। আর যে লোক অস্পষ্ট বিষয়ে পতিত হবে, সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত (সরকারী) চারণভূমির আশ-পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে যে, পশু তার অভ্যন্তরে যেয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক বাদশাহরই সংরক্ষিত এলাকা থাকে। সাবধান! আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হল তার হারামকৃত বিষয়সমূহ। জেনে রাখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা মাংস আছে। যখন তা সুস্থ থাকে, তখন সমস্ত শরীরই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। মনে রেখো, তা হল ’ক্বলব’ (হৃদয়)।”

6- “আমলসমূহ ছয় প্রকার ও মানুষ চার প্রকার। দুটি আবশ্যককারী কাজ এবং একটি এমন কাজ যা অপরটির সমান। একটি ভালোকাজ তার দশগুণ সমপরিমাণ আবার একটি ভালোকাজ সাতশত গুণ*। আবশ্যককারী কাজ দুটি হচ্ছে: যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শিরক না করে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তির আল্লাহর সাথে কোন কিছু শিরক করে মারা যাবে, সে (জাহান্নামের) আগুনে প্রবেশ করবে। একটি অপরটির সমান কাজ হচ্ছে: যে ব্যক্তি কোন ভালোকাজের সংকল্প করে, এমনকি তার অন্তর তা অনুভব করে এবং আল্লাহ তা‘আলা তার থেকে এ নিয়তের ব্যাপারে অবগত থাকেন, তার জন্য একটি ভালোকাজ লিপিবদ্ধ করা হয়। আর যে ব্যক্তি কোন মন্দ কাজ করে, তার উপরে একটি গুনাহ লেখা হয়। আর যে ব্যক্তি কোন ভালোকাজ করে, তার জন্য এর দশগুণ করে দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় কোন কিছু দান করে, তার জন্য সাতশতগুণ ‍বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। আর মানুষ (চার প্রকার): ১) দুনিয়ায় স্বচ্ছল কিন্তু আখিরাতে অস্বচ্ছল, ২) দুনিয়াতে অস্বচ্ছল কিন্তু আখিরাতে স্বচ্ছল, ৩) দুনিয়া ও আখিরাত উভয় স্থানেই অস্বচ্ছল এবং ৪) দুনিয়া ও আখিরাত উভয় স্থানেই স্বচ্ছল।”