الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، -ثلاثًا-»، وَمَا مِنَّا إِلَّا، وَلَكِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يُذْهِبُهُ بِالتَّوَكُّلِ…

الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، -ثلاثًا-»، وَمَا مِنَّا إِلَّا، وَلَكِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يُذْهِبُهُ بِالتَّوَكُّلِ ‘ শুভাশুভ নির্ণয় করা শির্ক।শুভাশুভ নির্ণয় করা শির্ক। শুভাশুভ নির্ণয় করা শির্ক।” একথা তিনি তিনবার বললেন। (বর্ণনাকারী বলেন) এমন কিছু আমাদের অনেকের মনে সৃষ্টি হতেই পারে, তবে তা মহান আল্লাহ তাঁর প্রতি তাওয়াক্কুল-ভরসা দ্বারা দূর করে দিবেন।’

আব্দুল্লাহ ইবন মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، -ثلاثًا-»، وَمَا مِنَّا إِلَّا، وَلَكِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يُذْهِبُهُ بِالتَّوَكُّلِ ‘ শুভাশুভ নির্ণয় করা শির্ক।শুভাশুভ নির্ণয় করা শির্ক। শুভাশুভ নির্ণয় করা শির্ক।” একথা তিনি তিনবার বললেন। (বর্ণনাকারী বলেন) এমন কিছু আমাদের অনেকের মনে সৃষ্টি হতেই পারে, তবে তা মহান আল্লাহ তাঁর প্রতি তাওয়াক্কুল-ভরসা দ্বারা দূর করে দিবেন।’

[সহীহ] [رواه أبو داود والترمذي وابن ماجه وأحمد]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুভাশুভ নির্ণয় করা থেকে সাবধান করেছেন। আর তা হলো শ্রুত বা দৃশ্যমান কোন কিছু দ্বারা অশুভকর মনে করা। যেমন: পাখি, পশু, বিকলাঙ্গ ব্যক্তি বা সংখ্যা বা দিন বা অন্য কিছুর মাধ্যমে অশুভ নির্ণয় করা। হাদীসে পাখির দ্বারা শুভাশুভ নির্ণয় করার ব্যাপারে বলা হয়েছে; কেননা এটি দ্বারা শুভাশুভ নির্ণয় করা জাহেলি যুগে প্রসিদ্ধ ছিলো। এর পদ্ধতি হলো: কোন সফর বা ব্যবসা বা অন্য কোন কাজ শুরু করার আগে একটি পাখি উড়িয়ে দেওয়া হতো। পাখিটি যদি ডান দিকে উড়ে যেতো তবে তারা সেটিকে শুভ মনে করতো এবং তাদের ইচ্ছাকৃত কাজটি সম্পন্ন করতো। আর পাখিটি যদি বাম দিকে উড়ে যেতো তবে সেটিকে তারা অশুভ মনে করতো এবং ইচ্ছাকৃত কাজটি করা থেকে বিরত থাকত। তিনি খবর দিয়েছেন যে, এটি সম্পূর্ণ শির্ক। অশুভ নির্ণয় শির্ক হওয়ার কারণ হলো, আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ কোন কল্যাণ দিতে পারে না। অন্যদিকে অকল্যাণ ও ক্ষতিও একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ প্রতিহত করতে পারে না। ইবনু মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু উল্লেখ করেন যে, কখনো কখনো মুসলিমের অন্তরে অশুভ হওয়ার ব্যাপারে কিছু উদয় হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাকে কাজের উপকরণ গ্রহণ করে আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুলের মাধ্যমে তার প্রতিহত করা উচিত।

فوائد الحديث

কুলক্ষণ নির্ণয় করা শির্ক। কেননা তাতে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের সাথে অন্তর সম্পৃক্ত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা বারবার উল্লেখ করার গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে, যাতে বিষয়টি মুখস্থ হয়ে যায় এবং হৃদয়ে গেঁথে যায়।

আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কুলক্ষণ ধারণা দূর করে দেয়।

একমাত্র আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করতে আদেশ করা হয়েছে এবং হৃদয়কে শুধু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলার সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।

التصنيفات

আশ-শির্ক, অন্তরের আমলের ফযীলত