إعدادات العرض
আল্লাহ তা‘আলার বাণী : তোমরা জেনে শোনে আল্লাহর জন্য শরীক সাব্যস্ত করো না। ইবন আব্বাস আয়াত বিষয়ে বলেন, আল-আনদাদ: অর্থ…
আল্লাহ তা‘আলার বাণী : তোমরা জেনে শোনে আল্লাহর জন্য শরীক সাব্যস্ত করো না। ইবন আব্বাস আয়াত বিষয়ে বলেন, আল-আনদাদ: অর্থ হলো শির্ক। আর শির্ক হলো গভীর অন্ধকার রাতে কালো পাথরের ওপর পিপড়ার গুণগুণ শব্দ থেকেও সুক্ষ্ম।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী: “তোমরা জেনে শোনে আল্লাহর জন্য শরীক সাব্যস্ত করো না”। ইবন আব্বাস আয়াত বিষয়ে বলেন, আল-আনদাদ: অর্থ হলো শির্ক। আর শির্ক হলো গভীর অন্ধকার রাতে কালো পাথরের ওপর পিপড়ার গুণগুণ শব্দ থেকেও সুক্ষ্ম। আর তা হলো তোমার বলা : আল্লাহর কসম এবং তোমার জীবনের কসম হে অমুক এবং আমার জীবনের কসম। এবং তোমার বলা: যদি এ কুকুর না হতো তাহলে আমাদের কাছে ডাকাত আসতো। যদি ঘরের মধ্যে হাঁস না হতো তা হলে ডাকাত আসতো। কোনো ব্যক্তির কথা তার সাথীকে উদ্দেশ্যে করে, আল্লাহ যা চেয়েছেন এবং তুমি যা চেয়েছো। এবং কোন ব্যক্তির কথা : যদি আল্লাহ না হতো এবং অমুক না হতো। তাতে (অর্থাৎ এসব কথায়) তুমি অমুককে সাব্যস্ত করো না। এগুলো সবই হলো তার সাথে শির্ক।
[সহীহ] [এটি ইবন আবী হাতিম বর্ণনা করেছেন।]
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी ئۇيغۇرچە Hausa Kurdî Kiswahili Português සිංහලالشرح
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা জেনে শুনে আল্লাহর জন্য শরীক সাব্যস্ত করো না। তিনি মানুষকে আল্লাহর জন্য এমন দৃষ্টান্ত এবং নজীর স্থাপন করতে নিষেধ করেছেন যাদের জন্য তারা তাদের ইবাদতের কিছু অংশ সমর্পন করবে। অথচ তারা জানে নিশ্চয় এক আল্লাহই হলেন স্রষ্টা, রিযিকদাতা। আর এ সব শরীক অক্ষম ও মুখাপেক্ষী তার জন্য কোন বিষয়ে কোন ক্ষমতা নেই। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু আনদাদকে শরীকসমূহ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করেন। আর তাদেরকে শরীক সাব্যস্ত করার বিভিন্ন দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। শির্ক অন্ধকার রাতে কালো মশ্রিণ পাথরের ওপর পিপড়ার চলার শব্দ থেকেও অধিক গোপন। তারপর তিনি এর ওপর আরও বিভিন্ন দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। যেমন, তুমি গাইরুল্লাহর নামে সপথ করলে, এর চেয়েও বড় অন্যায় হলো তুমি গাইরুল্লাহকে আল্লাহর সমান সাব্যস্ত করলে। তুমি বললে, আল্লাহর কসম এবং আমার জীবনের কসম। অথবা তুমি কারণের দিকে দেখলে কিন্তু কারণের মালিকের দিকে দেখলে না এবং বিষয়কে আল্লাহর দিকে ফেরালে না। যেমন তুমি বললে, যদি এ কুকুর আমাদের পাহারা না দিত, তাহলে আমাদের ঘরে ডাকাত আসত। অথবা সে বলে, ঘরের মধ্যে হাঁস যদি আমাদের সতর্ক না করত, যদি কোন অপরিচিত লোক প্রবেশ করত, তাহলে ডাকাত আসত। আর শির্কের আরও দৃষ্টান্ত হলো, কোন লোক তার সাথীকে বলল, আল্লাহ যা চাইল এবং তুমি যা চাইলে। এবং কোন মানুষ বলল, যদি আল্লাহ এবং অমুক না হতো। তুমি এসব কথায় অমুককে সাব্যস্ত করো না। তারপর তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন যে, এ গুলো সবই ছোট শির্ক। তবে এ সব কথা যে বলে, সে যদি এ কথা বিশ্বাস করে যে, লোকটি, বা হাঁসটি, বা কুকুরটিই আল্লাহ ছাড়াই সত্বাগতভাবে প্রভাব সৃষ্টিকারী বা ক্ষমতাশীল তাহলে তা হবে বড় শির্ক।التصنيفات
আশ-শির্ক