হে আল্লাহর রাসূল! লোকদের কী হল, তারা ‘উমরাহ শেষ করে হালাল হয়ে গেল, অথচ আপনি ‘উমরাহ হতে হালাল হচ্ছেন না? তিনি বললেন,…

হে আল্লাহর রাসূল! লোকদের কী হল, তারা ‘উমরাহ শেষ করে হালাল হয়ে গেল, অথচ আপনি ‘উমরাহ হতে হালাল হচ্ছেন না? তিনি বললেন, আমি মাথায় আঠালো বস্তু লাগিয়েছি এবং কুরবানীর জানোয়ারের গলায় মালা ঝুলিয়েছি। কাজেই কুরবানী করার পূর্বে হালাল হতে পারি না।

নবীর সহধর্মিণী হাফসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল! লোকদের কী হল, তারা ‘উমরাহ শেষ করে হালাল হয়ে গেল, অথচ আপনি ‘উমরাহ হতে হালাল হচ্ছেন না? তিনি বললেন, আমি মাথায় আঠালো বস্তু লাগিয়েছি এবং কুরবানীর জানোয়ারের গলায় মালা ঝুলিয়েছি। কাজেই কুরবানী করার পূর্বে হালাল হতে পারি না”।

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

বিদায়ী হজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ ও উমরার ইহরাম বাঁধেন। তিনি হাদী সাথে নেন এবং মাথায় আঠালো বস্তু লাগান যা তাকে বিক্ষিপ্ততা থেকে বিরত রাখবে। কারণ, তার ইহরাম দীর্ঘ হবে। সাহাবীদের কতক তার ইহরামের মতো আর কতক হজে তামাত্তুকারী হিসেবে উমরার ইহরাম বাঁধেন। তাদের অধিকাংশই হাদী প্রেরণ করেননি এবং কতক হাদী প্রেরণ করেছেন। তারপর যখন তারা মক্কায় পৌঁছল, তাওয়াফ ও সা‘ঈ করল, মুফরিদ ও কারেন হজকারী যারা হাদী নিয়ে আসেনি তাদের নির্দেশ দিলেন তারা যেন তাদের হজকে পরিবর্তন করে এবং তাকে উমরায় রুপান্তর করে। আর তারা হালাল হয়ে যাবে। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং যারা তার সাথে হাদী নিয়ে এসেছে তারা তাদের ইহরামের ওপর বাকী থাকলো, তারা হালাল হলো না। তখন রাসূলের স্ত্রী হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহা তাকে জিজ্ঞাসা করল, কেন লোকেরা হালাল হলো অথচ আপনি হালাল হলেন না? তিনি বললেন, আমি মাথায় আঠালো বস্তু লাগিয়েছি, কুরবানীর জানোয়ারের গলায় মালা ঝুলিয়েছি এবং তা সাথে নিয়ে এসেছি। হালাল হওয়ার জন্য এটি আমার জন্য বাঁধা প্রদানকারী যতক্ষণ না তা তার জায়গায় পৌঁছবে। আর তা হলো কুরবানীর দিন, হজের সমাপ্তির দিন।

التصنيفات

হজ করার পদ্ধতি