নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিন সালাত আদায় করেন, অতঃপর খুতবাহ দেন। অতঃপর যবেহ্ করেন এবং তিনি…

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিন সালাত আদায় করেন, অতঃপর খুতবাহ দেন। অতঃপর যবেহ্ করেন এবং তিনি বলেন, সালাতের পূর্বে যে ব্যক্তি যবেহ্ করবে তাকে তার স্থলে আর একটি যবহ্ করতে হবে এবং যে যবেহ্ করেনি, আল্লাহর নামে তার যবেহ্ করা উচিত।

জুনদুব ইব্নু ‘আব্দুল্লাহ্ বাজালী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিন সালাত আদায় করেন, অতঃপর খুতবাহ দেন। অতঃপর যবেহ্ করেন এবং তিনি বলেন, সালাতের পূর্বে যে ব্যক্তি যবেহ্ করবে তাকে তার স্থলে আরেকটি যবহ্ করতে হবে এবং যে যবেহ্ করেনি, আল্লাহর নামে তার যবেহ্ করা উচিত।

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

কুরবানীর দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে সালাত তারপর খুতবা তারপর জবেহ করেন। ইসলামের নিদর্শনগুলো তুলে ধরা, উম্মতকে শেখানো এবং উপকারিতাকে সবার কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে তিনি তার কুরবানির পশুকে ঈদগাহে নিয়ে যেতেন। আর তিনি কুরবানীর শর্ত ও বিধানকে স্পষ্ট করতে গিয়ে তাদের বলেন, যে ব্যক্তি সালাতের আগে জবেহ করে তার জবেহ করা যথেষ্ট হবে না। সে যেন তার জায়গায় আরেকটি পশু জবেহ করে। আর যে জবেহ করেনি সে যেন আল্লাহর নাম নিয়ে জবেহ করে যাতে জবেহ করা শুদ্ধ হয় এবং তা হালাল হয়। হাদীসটি উল্লিখিত ধারাবাহিকতার প্রমাণ স্বরূপ। এর বিপরীত গ্রহণ যোগ্য হবে না। আর হাদীসটি প্রমাণ করে যে, কুরবানীর সময় ঈদের সালাত শেষ হওয়ার সাথে সাথে আরম্ভ হয় সালাতের ওয়াক্ত প্রবেশ করার সাথে নয় এবং ইমামের কুরবানীর সাথেও নয়। তবে যার ওপর ঈদের সালাত ওয়াজিব নয় যেমন মুসাফির, তার বিষয়টি ভিন্ন। তাইসীরুল আল্লাম তাম্বীহুল আফহাম তা’সীসুল আহকাম।

التصنيفات

কুরবানি