إعدادات العرض
স্বামী মারা গেলে নারীরা ছোট ঘরে প্রবেশ করত এবং সবচেয়ে খারাপ কাপড় পরিধান করত, কোনো সুগন্ধি স্পর্শ করত না, এমনিতে এক…
স্বামী মারা গেলে নারীরা ছোট ঘরে প্রবেশ করত এবং সবচেয়ে খারাপ কাপড় পরিধান করত, কোনো সুগন্ধি স্পর্শ করত না, এমনিতে এক বছর কেটে যেত। অতঃপর চতুষ্পদী জন্তু (গাধা অথবা পাখি অথবা বকরি) এনে তার গা চাটানো হত!
উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “জনৈক নারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমার এই মেয়ের স্বামী মারা গেছে, এখন তার চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে, আমরা কি তার চোখে সুরমা দিব? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না )দুইবার অথবা তিনবার)। অতঃপর বললেন: ইদ্দত হচ্ছে চার মাস দশ দিন মাত্র। অথচ জাহেলি যুগে তোমাদের একেকজন এক বছরান্তে উটের মল নিক্ষেপ করত।” (উদ্দেশ্য একবছরে ইদ্দত শেষ করত।) যায়নাব বলেন, স্বামী মারা গেলে নারীরা ছোট ঘরে প্রবেশ করত এবং সবচেয়ে খারাপ কাপড় পরিধান করত, কোনো সুগন্ধি স্পর্শ করত না, এমনিতে এক বছর কেটে যেত। অতঃপর চতুষ্পদী জন্তু -গাধা অথবা পাখি অথবা বকরি এনে তার গা চাটানো হত! এরূপ খুব কমই হয়েছে যে, তার দুর্গন্ধের বস্তু চেটে খেয়েছে আর জন্তুটি মারা যায় নি! অতঃপর সে বের হত, তাকে একটি উটের মল দেওয়া হত, সে তা ছুড়ে মারত, অতঃপর সুগন্ধি বা যা ইচ্ছা তাই ব্যবহার করত।”
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी ئۇيغۇرچە Hausa Portuguêsالشرح
ইসলাম এসে মানুষদের থেকে জাহেলি যুগের বোঝা দূর করেছে, বিশেষভাবে নারীদের ওপর থেকে। কারণ, সে যুগে পুরুষেরা নারীদের সাথে দুর্ব্যবহার ও যুলুম করত। অতঃপর ইসলাম এসে তাদের হক সংরক্ষণ করেছে। এ হাদীসে দেখছি জনৈক নারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ফাতওয়া নিতে এসে জানাচ্ছেন যে, তার মেয়ের স্বামী মারা গেছে এবং সে ইদ্দত পালন করছে, আর ইদ্দত পালনকারী স্বাভাবিকভাবেই সৌন্দর্য্য বর্জন করে, কিন্তু সে চোখে ব্যথা অনুভব করছে, তাই তার জন্যে সুরমা ব্যবহারের অনুমতি আছে কি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুরুত্বারোপের জন্যে কয়েকবার বললেন, না। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইদ্দতের সময়টিকে কম বলে উল্লেখ করলেন, যেটুকু সময় সে স্বামীর সম্মানে ঘরে বসে থাকে, অর্থাৎ চার মাস দশ দিন। এই অল্প সময় কি বসে থাকতে পারবে না, যেখানে কিছু শিথিলতাও রয়েছে, অথচ জাহেলি যুগে তোমাদের ইদ্দত পালনকারী নারী ছোট ঘরে প্রবেশ করত, যেন সেটা ভয়ের গর্ত, আর সেখানে বসেই সৌন্দর্য্য, সুগন্ধি, পানি ও মানুষের সাথে উঠাবসা ত্যাগ করত। পুরো এক বছর মানুষ থেকে দূরে থাকার কারণে তার গায়ে ময়লা ও দুর্গন্ধের স্তূপ জমে যেত। যখন ইদ্দত থেকে নিস্কৃতি পেত, তাকে উটের মল দেওয়া হত, আর সে তা নিক্ষেপ করে জানান দিতে যে, তার স্বামীর হক আদায় করতে গিয়ে সে যে সংকীর্ণতা, কঠোরতা ও কষ্ট বরদাস্ত করেছে সেটা এই মলের বরাবরও নয়। ইসলাম এসে সেই কষ্টকে নি‘আমত দ্বারা আর সংকীর্ণতাকে প্রশস্ততা দ্বারা বদলে দিয়েছে, তারপরও কি চোখে সুরমা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে না? অতএব, তার জন্যে সুরমা ব্যবহরের সুযোগ নেই, যেন সেটা ইদ্দত পালনকারীকে সৌন্দর্য্য গ্রহণ করার দিকে ধাবিত না করে।