إعدادات العرض
আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর একজন ক্রীতদাস ছিল, চুক্তি অনুযায়ী সে তার কাছে ধার্যকৃত কর আদায় করত। আর আবূ…
আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর একজন ক্রীতদাস ছিল, চুক্তি অনুযায়ী সে তার কাছে ধার্যকৃত কর আদায় করত। আর আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার সেই আদায়কৃত অর্থ ভক্ষণ করতেন।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর একজন ক্রীতদাস ছিল, চুক্তি অনুযায়ী সে তার কাছে ধার্যকৃত কর আদায় করত। আর আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার সেই আদায়কৃত অর্থ ভক্ষণ করতেন। (অবশ্য প্রত্যহ সে অর্থ হালাল কি না, তা জিজ্ঞাসা করে নিতেন।) একদিনের ঘটনা: ঐ ক্রীতদাস কোনো একটা জিনিস এনে তাঁর খিদমতে হাযির করল। আর তিনি (সেদিন ভুলে কিছু জিজ্ঞাসা না করে) তা থেকে কিছু খেয়ে ফেললেন। দাসটি বলল, ‘আপনি কি জানেন, এটা কী জিনিস (যা আপনি ভক্ষণ করলেন)?’ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, ‘তা কী?’ দাসটি বলল, ‘আমি জাহেলী যুগে একজন মানুষের ভাগ্য গণনা করেছিলাম। অথচ আমার ভাগ্য গণনা করার মতো ভালো জ্ঞান ছিল না। আসলে আমি তাকে ধোঁকা দিয়েছিলাম। সে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাকে (পারিশ্রমিক স্বরূপ) এই জিনিস দিলো, যা আপনি ভক্ষণ করলেন।’ এ কথা শুনে আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নিজের হাত স্বীয় মুখের ভিতরে প্রবেশ করালেন এবং পেটের মধ্যে যা কিছু ছিল বমি করে বের করে দিলেন!
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी සිංහල Kurdîالشرح
আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার এ গোলামটিকে নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায়ের নিয়ম নির্ধারণ করে দেন; যা সে প্রতিদিন তাঁর নিকট নিয়ে আসত। একদিনের ঘটনা: ঐ ক্রীতদাস কোনো একটা জিনিস এনে তাঁর খিদমতে হাযির করল। আর তিনি তা থেকে ভক্ষণ করলেন। তারপর সে বলল, আপনি কি জানেন? তা কী? আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, ‘তা কী?’ দাসটি বলল, ‘আমি জাহেলী যুগে একজন মানুষের ভাগ্য গণনা করেছিলাম। অথচ আমার ভাগ্য গণনা করার মতো ভালো জ্ঞান ছিল না। আসলে আমি লোকটিকে ধোঁকা দিয়েছিলাম। সে আমার সঙ্গে সক্ষাৎ করে আমাকে (পারিশ্রমিক স্বরূপ) এই জিনিস দিলো। গণনা করে বিনিময় গ্রহণ করা হারাম। চাই ভাগ্য গণনা করতে জানুক বা নাই জানুক। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম গণকের উপার্জন থেকে নিষেধ করেছেন। (সহীহ বুখারী ৩/৮৪, হাদীস নং ২২৩৭) এবং (সহীহ মুসলিম ৩ /১১৯৮, হাদীস নং ১৫৬৭) আবূ মাসঊদ আল-আনসারীর হাদীস থেকে। সুতরাং যখন সে আবু বকরকে এ কথা বলল, আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নিজের হাত স্বীয় মুখের ভিতরে প্রবেশ করালেন এবং পেটের মধ্যে যা কিছু ছিল বমি করে বের করে দিলেন, যাতে তার পেট হারাম দ্বারা না ভরে। এ মাল হারাম; কারণ হারামের বিনিময় দ্বারা তা উপার্জিত। আর হারাম কর্মের ওপর বিনিময় গ্রহণ করাও হারাম।التصنيفات
দুনিয়াবিমুখ হওয়া ও সাবধানতা অবলম্বন