إعدادات العرض
যারা যুদ্ধে যায় নি, তাদের জন্য মুজাহিদদের স্ত্রীগণ এমন হারাম, যেমন তাদের জন্য তাদের মাতাগণ হারাম।
যারা যুদ্ধে যায় নি, তাদের জন্য মুজাহিদদের স্ত্রীগণ এমন হারাম, যেমন তাদের জন্য তাদের মাতাগণ হারাম।
বুরাইদাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “যারা যুদ্ধে যায় নি, তাদের জন্য মুজাহিদদের স্ত্রীগণ এমন হারাম, যেমন তাদের জন্য তাদের মাতাগণ হারাম। আর কোনো মুজাহিদের পরিবারের ব্যাপারে কোনো ব্যক্তি যদি জিম্মাদার হয় অতঃপর তার পরিবারের ক্ষেত্রে তার খিয়ানত করে, তাহলে সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন তার গতি রোধ করে দাঁড়াবে এবং সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তার আমল হতে যা ইচ্ছা কেড়ে নিবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে তাকালেন এবং বললেন, “তোমাদের ধারণা কী?” (অর্থাৎ তোমাদের ধারনায় সে কী পরিমাণ গ্রহণ করবে!)
[সহীহ] [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी සිංහල Kurdîالشرح
একটি নীতি হচ্ছে, পরনারী পর পুরুষের জন্য হারাম। আর হারামের পরিমাণটা আরো বেড়ে যায় মুজাহিদদের স্ত্রীদের ব্যাপারে, যারা আল্লাহর পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেছেন এবং তাদের স্ত্রীগণকে পশ্চাতে রেখে গেছেন তাদের দেখা-শুনাকারীদের দায়িত্বে। সুতরাং যারা যুদ্ধে যায় নি তাদের জন্য আবশ্যক হলো মুজাহিদদের স্ত্রীগণের মান-সম্মান রক্ষার ব্যাপারে সর্বাত্মক সতর্কতা অবলম্বন করা, তাদের সাথে নির্জনে মিলিত না হওয়া, তাদের দিকে দৃষ্টি না দেওয়া ও তাদের সাথে অশ্লীল কথাবার্তা না বলা। কেননা তারা সেসব লোকদের জন্য এমন হারাম যেমন তাদের জন্য তাদের মাতাগণ হারাম। তাছাড়া তারা (মুজাহিদগণ) তাদেরকে যুদ্ধে না নিয়ে বাড়িতে এ জন্য রেখে গেছেন যাতে তাদের পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করেন। তাই নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যারা যুদ্ধে যায় নি তাদের ওপর ওয়াজিব হলো মুজাহিদের পরিবারের প্রয়োজন মেটানো এবং তাদের কোনো খিয়ানত না করা, তাদের দিকে না তাকানো অথবা হারাম কোনো কাজ করার চেষ্টা না করা, তাদের দেখাশুনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, উপকারী ও কল্যাণকর জিনিস পৌঁছানো এবং কষ্টকর জিনিস থেকে দূরে রাখার ব্যাপারে কোনো ধরণের ত্রুটি না করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, “যে ব্যক্তি মুজাহিদের অবর্তমানে তার স্ত্রীর ব্যাপারে খিয়ানত করার দুঃসাহস দেখাবে এবং তার খিয়ানত করবে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন উক্ত মুজাহিদকে খিয়ানতকারীর আমলনামা থেকে যতো খুশী ততো নেক আমল কেড়ে নেওয়ার অনুমতি দিবেন, যাতে তার চক্ষু শীতল হয়ে যায়।” অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমাদের ধারণা কী?” অর্থাৎ সে পরিস্থিতিতে খিয়ানতকারীর আমলনামা থেকে মুজাহিদ কতো বেশি পরিমাণ আমল নিবে সে ব্যাপারে তোমাদের ধারণা কী? অর্থাৎ সে এতো বেশি আমল নিবে যে, খিয়ানতকারীর আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। দেখুন, মিরকাতুল মাফাতীহ (৬/২৪৬১); শরহি সুনানি আবী দাঊদ লিল আব্বাদ, ইলেকট্রনিক কপি।