ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতদিন পর্যন্ত ফুরাত নদী একটি সোনার পাহাড় বের না করবে, যা নিয়ে যুদ্ধ বাঁধবে।…

ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতদিন পর্যন্ত ফুরাত নদী একটি সোনার পাহাড় বের না করবে, যা নিয়ে যুদ্ধ বাঁধবে। ফলে যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী প্রত্যেক শ থেকে নিরানব্বই জনই মারা যাবে।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, “ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতদিন পর্যন্ত ফুরাত নদী একটি সোনার পাহাড় বের না করবে, যা নিয়ে যুদ্ধ বাঁধবে। ফলে যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী প্রত্যেক শ থেকে নিরানব্বই জনই মারা যাবে! তাদের প্রত্যেকে বলবে যে, ‘সম্ভবতঃ আমি বেঁচে যাব।” অন্য এক বর্ণনায় আছে, “অদূর ভবিষ্যতে ফুরাত নদী স্বর্ণের খনি বের করে দিবে। সুতরাং যে সেখানে উপস্থিত হবে, সে তার থেকে কিছুই গ্রহণ করবে না।”

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জানিয়ে দিচ্ছেন যে, কিয়ামতের কাছাকাছি সময়ে ফুরাত নদী স্বর্ণের খনি বা স্বর্ণের পাহাড় বের করে দিবে। অর্থাৎ পাহাড়ের ন্যায় স্বর্ণ বের হবে। আর লোকেরা তার জন্য মারামারি করবে। কারণ, এটা ফিতনা। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের যে কেউ সেখানে উপস্থিত থাকবে তাকে তা থেকে গ্রহণ করতে নিষেধ করছেন। কারণ, তার থেকে কেউ নাজাত পাবে না। হতে পারে, যে তখন উপস্থিত থাকবে সে এ হাদীসটির অপব্যাখ্যা করবে ও হাদীসের প্রকৃত অর্থকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করবে; যাতে নিজে সেখান থেকে কিছু গ্রহণ করার সুযোগ পায়। আমরা আল্লাহর কাছে যাবতীয় ফিতনা থেকে আশ্রয় কামনা করছি।

التصنيفات

শেষ দিবসের ওপর ঈমান, কিয়ামতের আলামতসমূহ