আদম সন্তান যখন সকালে উপনীত হয় তখন তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জিহ্বার কাছে মিনতি প্রকাশ করে এবং বলে, আমাদের ব্যাপারে…

আদম সন্তান যখন সকালে উপনীত হয় তখন তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জিহ্বার কাছে মিনতি প্রকাশ করে এবং বলে, আমাদের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো, আমরা তো তোমার দ্বারাই পরিচালিত হই। তুমি ঠিক থাকলে আমরাও ঠিক থাকি, আর তুমি বক্র হলে আমরাও বক্র হয়ে যাই।

আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “আদম সন্তান যখন সকালে উপনীত হয় তখন তার অঙ্গ-প্রতঙ্গ জিহ্বার কাছে মিনতি প্রকাশ করে এবং বলে, আমাদের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো, আমরা তো তোমার দ্বারাই পরিচালিত হই। তুমি ঠিক থাকলে আমরাও ঠিক থাকি, আর তুমি বক্র হলে আমরাও বক্র হয়ে যাই।”

[সহীহ] [এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

হাদীসের অর্থ: শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জিহ্বার প্রতি নত ও অনুগত। সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জিহ্বার দ্বারা পরিচালিত। এ কারণে প্রত্যহ সকালে তারা বলে, আমাদের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো, আমরা তো তোমার দ্বারাই পরিচালিত হই। অতএব, জিহ্বার ভূমিকা অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চেয়ে অত্যন্ত ভয়ংকর ও গুরুত্বপূর্ণ। সে ঠিক থাকলে অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক থাকে এবং যাবতীয় কাজও সঠিক হয়। আর সে বক্র হলে অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও বক্র হয়ে যায় এবং তার অন্যান্য কাজও বিনষ্ট হয়ে যায়। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “বান্দার ঈমান ততক্ষণ পর্যন্ত সঠিক হবে না যতক্ষণ তার অন্তর ঠিক না হবে। আর তার অন্তর ততক্ষণ সঠিক হবে না যতক্ষণ তার জিহ্বা ঠিক হবে না।” জিহ্বার গুরুত্ব সম্পর্কে এ অধ্যায়ে অনেক হাদীস রয়েছে। জিহ্বার কারণেই ব্যক্তির সৌভাগ্য আবার জিহ্বার কারণেই মানুষের দুর্ভাগ্য। ব্যক্তি যদি জিহ্বাকে আল্লাহর আনুগত্যাধীন করতে পারে তবে দুনিয়া ও আখিরাতে তা তার জন্য সৌভাগ্যের কারণ হবে। আর যদি সে জিহ্বাকে আল্লাহর অসন্তুষ্টির কাজে মুক্ত করে দেয় তাহলে তা দুনিয়া ও আখিরাতে আফসোসের কারণ হবে। দেখুন, মিরকাতুল মাফাতীহ শরহি মিশকাতুল মাসাবীহ, মোল্লা আলী আল-ক্বারী (৭/৩০৪০)।

التصنيفات

কথা বলা ও চুপ থাকার আদব