إعدادات العرض
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওমে বেসাল থেকে নিষেধ করলেন। লোকেরা বললো, আপনি যে সাওমে বেসাল পালন…
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওমে বেসাল থেকে নিষেধ করলেন। লোকেরা বললো, আপনি যে সাওমে বেসাল পালন করেন! তিনি বললেন: আমি তোমাদের মতো নই, আমাকে পানাহার করানো হয়।
আবদুল্লাহ ইবন ‘উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওমে বেসাল থেকে নিষেধ করলেন। লোকেরা বললো, আপনি যে সাওমে বেসাল পালন করেন! তিনি বললেন: আমি তোমাদের মতো নই, আমাকে পানাহার করানো হয়। তোমাদের কেউ যদি বেসাল করতে চায় সে যেন সাহরী পর্যন্ত বেসাল করে।
[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी ئۇيغۇرچە Hausa Português Kurdîالشرح
সাহাবীদের প্রতি দয়াবান ও মেহেরবান হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে সাওমে বেসাল করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু সাহাবীগনের মধ্যে আল্লাহর অনুগ্রহের প্রতি মহব্বত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রতি অধিক লোভ থাকার কারণে তারা রাসূলের অনুকরণে সাওমে বেসাল করতে আগ্রহ দেখালেন। আর তারা বললেন, আপনি সাওমে বেসাল করেন। তখন তিনি তাদের জানিয়ে দেন যে, তার জন্য একজন খাওয়ানে ওয়ালা রয়েছে, যে তাকে খাওয়ায় এবং একজন পান করানে ওয়ালা রয়েছে যে তাকে পান করায় যা তার খাওয়া ও পান করার বিনিময় হয়ে যায়। তবে যদি তোমাদের কেউ সাওমে বিসাল করার ইচ্ছা করে সে যেন সাহরী পর্যন্ত বেসাল করে। ইসলামী শরী‘আত হলো একটি চিরন্তন সহজ ও সরল পথ। তাতে কোনো বাড়াবাড়ি ও কষ্ট নেই এবং সীমালঙ্ঘন ও লুকোচুরি নেই। কারণ, সাওমে ওয়িসালে আত্মাকে কষ্ট দেওয়া ও বেঁধে রাখা হয়। আর আল্লাহ কোনো আত্মাকে তার সাধ্যের বাহিরে কষ্ট দেন না। কারণ, সহজ করা এবং সহনীয়তার মধ্যে আমলের স্থায়ীত্ব ও নিরাপত্তা থাকে। আর তাতে রয়েছে ইনসাফ যা আল্লাহ তা‘আলা যমীনে স্থাপন করেছেন। আর তা হলো আল্লাহ তা‘আলা যে ইবাদত করা বান্দার কাছে চেয়েছেন, তা তাকে দান করা। আর আত্মাকে দান করা তা যা তাকে শক্তিশালী করে।