উসমান ইবন মাযউনের জন্য বৈরাগ্যকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি যদি তাকে অনুমতি…

উসমান ইবন মাযউনের জন্য বৈরাগ্যকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি যদি তাকে অনুমতি দিতেন, আমরা অবশ্যই খাসি হয়ে যেতাম।

সা‘দ ইবন আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উসমান ইবন মাযউনের জন্য বৈরাগ্যকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি যদি তাকে অনুমতি দিতেন, আমরা অবশ্যই খাসি হয়ে যেতাম।

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

সা‘দ ইবন আবু ওয়াক্কাস বর্ণনা করেন, উসমান ইবন মাযউন ইবাদতের প্রচণ্ড আগ্রহ থেকে চেয়েছেন যে, ইবাদতের জন্যেই তিনি অবসর গ্রহণ করবেন এবং দুনিয়ার ভোগ-বিলাস একেবারেই ত্যাগ করবেন। তাই তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট নারীদের থেকে পৃথক থাকা ও ইবাদতে আত্মনিয়োগ করার অনুমতি চাইলেন, তিনি তাকে অনুমতি দেন নি। কারণ, দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ত্যাগ করা ও ইবাদতে আত্মনিয়োগ করা দীনের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি ও নিন্দিত বৈরাগ্য। সঠিক দীন হচ্ছে নফসকে তার পবিত্র বস্তু দান করার সাথে সাথে আল্লাহর ইবাদতও আঞ্জাম দেওয়া। এজন্যই যদি উসমান ইবন মাযউনকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমতি দিতেন, তাহলে ইবাদতে আগ্রহী অনেকেই তার অনুসরণ করতেন।

التصنيفات

বিবাহ