বিবাহ

বিবাহ

3- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বিভিন্ন প্রয়োজনে (বিবাহ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে) পাঠের জন্য খুৎবা শিক্ষা দিয়েছেন।* যা হলো: إِنَّ الحَمْدَ للهِ، نَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ، وَنَعُوْذُ بِهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا، مَنْ يَهْدِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا الله، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ، (অর্থ) “সকল প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। আমরা তাঁর কাছেই সাহায্য চাই, এবং তাঁর নিকটই ক্ষমা প্রার্থনা করি। তাঁর নিকট অন্তরের কুমন্ত্রণা থেকে পানাহ চাই। যাকে আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেন তাকে গোমরাহ করার কেউ নেই। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন তাকে পথ প্রদর্শনের কেউ নেই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ্ ছাড়া কোন সত্য মাবূদ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।” {يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ والأرحام إن الله كان عليكم رقيبا} [النساء: 1] “হে মানবমন্ডলী! তোমরা তোমাদের সেই রব্ব কেই ভয় করো, যিনি তোমাদের কে এক আত্মা থেকে সৃস্টি করেছেন,সেখান থেকে তার জোড়া সৃস্টি করেছেন,এবং তাদের উভয় থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পরুষ ও নারী। আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাঞ্চা কর এবং সতর্ক থাক জ্ঞাতিবন্ধন সম্পর্কে। নিশ্চই আল্লাহ্ তোমাদের উপর তীক্ষ্ণদৃষ্টি রাখেন।” (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১) {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ} [آل عمران: 102] “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, (যথোপযুক্তভাবে) তাকওয়া অবলম্বন করার মত এবং মুসলিম না হয়ে তোমরা মারা যেও না।” (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০২) {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا (70) يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا} [الأحزاب:70 - 71]. “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সঠিক কথা বলো, (তবে আল্লাহ) তোমাদের কর্ম সংশোধোন করবেন এবং তোমাদের গুনাহ ক্ষমা করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, অবশ্যই সে বিরাট সাফল্য লাভ করবে।” (সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৭০-৭১)।

7- “তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল এবং তোমরা প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।* শাসক দায়িত্বশীল, সে তার প্রজাদের ব্যাপারে জবাবদিহী করবে। একজন পুরুষ তার পরিবারে দায়িত্বশীল এবং সে তার অধীনদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী তার স্বামীর ঘরের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তার দায়িত্বের বিষয়ে জিজ্ঞাসিতা হবে। আর সেবক সে তার মুনিবের সম্পদের দায়িত্বশীল এবং সে তার দায়িত্বের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। বস্তুত তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে।”