আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে যখন আদমের আকৃতি তৈরি করেছেন, সেখানে তাকে যত দিন রাখার তিনি রাখলেন। ইত্যবসের ইবলিস তাকে…

আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে যখন আদমের আকৃতি তৈরি করেছেন, সেখানে তাকে যত দিন রাখার তিনি রাখলেন। ইত্যবসের ইবলিস তাকে ঘুরে দেখতে লাগল এটি কী? যখন তার পেট দেখল, তখন সে বুঝতে পারল তাকে এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে যে, সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে যখন আদমের আকৃতি তৈরি করেছেন, সেখানে তাকে যত দিন রাখার তিনি রাখলেন। ইত্যবসের ইবলিস তাকে ঘুরে দেখতে লাগল এটি কী? যখন তার পেট দেখল, তখন সে বুঝতে পারল তাকে এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে যে, সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।”

[সহীহ] [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

আল্লাহ তা‘আলা যখন জান্নাতে আদমকে সৃষ্টি করলেন এবং তাকে আকৃতি দিলেন, তাকে একটি সময় পর্যন্ত রূহ সঞ্চার করা ছাড়াই সেখানে রেখে দিয়ে ছিলেন, ইবলিস তখন তার পাশ দিয়ে ঘুরতে লাগল এবং তাকে দেখতে লাগল, যেন জানতে পারে এটা কী? যখন তার ভেতরটা খালি দেখল এবং তার পেটও দেখল, তখন সে বুঝতে পারল সে তো দুর্বল মাখলুক, নিজের থেকে ওয়াসওয়াসা দূর করতে পারবে না অথবা বুঝতে পেরেছে যে, সে পেটের দিক থেকে পাপে লিপ্ত হবে। কারণ, তাকে গাছ থেকে তৈরি খাবার দেওয়া হয়েছে অথবা সে আগ থেকেই জানত যে, পেট ওয়ালা সৃষ্টি দুর্বলই হলো। অনেকের নিকট হাদীসের ভাষা «في الجنة» দুর্বোধ্য ঠেকেছে, অথচ বর্ণিত আছে আল্লাহ তা‘আলা তাকে যমীন থেকে সৃষ্টি করেছেন। তার উত্তরে বলা হয়েছে যে, তাকে কয়েক ধাপ পর্যন্ত এভাবেই রাখা হয়েছে, এভাবে থেকেই তার আকৃতি রূহ গ্রহণ করার উপযুক্ত হয়েছে। অতঃপর তাকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানেই তার ভেতর রূহ সঞ্চার করা হয়েছে।

التصنيفات

তাওহীদুল আসমা ও সিফাত