তাওহীদুল আসমা ও সিফাত

তাওহীদুল আসমা ও সিফাত

2- আল্লাহ ভাল-মন্দ লিখে দিয়েছেন। এরপর সেগুলোকে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন সৎ কাজের ইচ্ছা করল; কিন্তু তা বাস্তবে করল না, আল্লাহ তাঁর কাছে এর জন্য পূর্ণ একটি সাওয়াব লিখবেন। আর সে ভাল কাজের ইচ্ছা করল এবং তা বাস্তবেও সম্পাদন করল, আল্লাহ তাঁর কাছে ঐ ব্যক্তির জন্য দশ গুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত, এমন কি এর চেয়ে বহুগুণ সাওযাব লিখে দেন। আর যে কোন মন্দ কাজের ইচ্ছা করল; কিন্তু তা বাস্তবায়ন করল না, আল্লাহ তাঁর কাছে তার জন্য পূর্ণ সাওয়াব লিখবেন। আর যদি সে মন্দ কাজের ইচ্ছা করার পর বাস্তবেও তা করে, তবে তার জন্য আল্লাহ মাত্র একটা গুনাহ লিখবেন।”

36- ইয়াহুদীদের একজন জ্ঞানী ব্যক্তি রাসূলুল্লাহর নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ, আমরা পেলাম যে, আল্লাহ আসমানসমূহ একটি আঙ্গুলের উপর, যমীনসমূহ একটি আঙ্গুলের উপর, গাছ-পালা একটি আঙ্গুলের ওপর, পানি একটি আঙ্গুলের ওপর, মাটি একটি আঙ্গুলের ওপর এবং সমস্ত মাখলুক একটি আঙ্গুলের উপর রাখবেন। তারপর তিনি বলবেন, আমিই বাদশাহ। এ বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহুদী আলেমের কথাকে স্বীকার করে হেঁসে দিলেন, যাতে তার দাঁতগুলো প্রকাশ পেল। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করেন, তারা আল্লাহকে তার সম্মান অনুযায়ী সম্মান দিতে পারেনি। কিয়ামতের দিন সমগ্র পৃথিবী তার হাতের মুঠোর মধ্যে হবে। সহীহ মুসলিমের হাদিসে বর্ণিত: পাহাড়সমূহ ও গাছ-পালা এক আঙ্গুলের উপর থাকবে। তারপর তিনি এগুলোকে নাড়া দিয়ে বলবেন, আমিই বাদশাহ আমিই আল্লাহ। সহীহ বুখারীর একটি বর্ণনায় বর্ণিত: আসমানসমূহ এক আঙ্গুলের উপর, মাটি এক আঙ্গুলের ওপর এবং সমগ্র মাখলুক একটি আঙ্গুলের ওপর থাকবে।”

49- আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ অমুককে ভালোবাসেন, অতএব তুমিও তাকে ভালোবাস।’ সুতরাং জিবরীলও তাকে ভালোবাসেন। অতঃপর তিনি আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, ‘আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালোবাসেন, কাজেই তোমরাও তাকে ভালোবাসো।’ তখন আকাশবাসীরা তাকে ভালোবাসে। অতঃপর যমীনের বুকেও তার জন্যে গ্রহণযোগ্যতা রাখা হয়।” মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, “আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ‘নিশ্চয় আমি অমুককে ভালোবাসি, অতএব তুমিও তাকে ভালোবাস।’ তখন জিবরীলও তাকে ভালোবাসেন। অতঃপর তিনি আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, ‘আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালোবাসেন। কাজেই তোমরাও তাকে ভালোবাসো।’ তখন আকাশবাসীরা তাকে ভালোবাসে। অতঃপর যমীনের বুকেও তাকে গ্রহণযোগ্য করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আর আল্লাহ তা‘আলা যখন কোনো বান্দাকে ঘৃণা করেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ‘আমি অমুককে ঘৃণা করি, অতএব তুমিও তাকে ঘৃণা কর।’ তখন জিবরীল তাকে ঘৃণা করেন। অতঃপর তিনি আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, ‘আল্লাহ অমুক বান্দাকে ঘৃণা করেন। কাজেই তোমরাও তাকে ঘৃণা কর।’ তখন আকাশবাসীরাও তাকে ঘৃণা করতে শুরু করে। অতঃপর যমীনের বুকেও তাকে ঘৃণ্য করা হয়।