إعدادات العرض
“হে লোক সকল, আল্লাহ তা’আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা’আলা তার প্রেরিত…
“হে লোক সকল, আল্লাহ তা’আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা’আলা তার প্রেরিত রাসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন
আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হে লোক সকল, আল্লাহ তা’আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা’আলা তার প্রেরিত রাসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} “হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু’মিনূন ২৩ঃ ৫১) তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু’আ কী করে কবুল করা হবে?”
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Türkçe اردو 中文 हिन्दी Tagalog ئۇيغۇرچە Hausa Kurdî Português සිංහල Русский Nederlands অসমীয়া Tiếng Việt Kiswahili ગુજરાતી پښتو Română മലയാളം नेपाली Deutsch Кыргызча తెలుగు ქართული Moore Magyar Svenska Македонски ಕನ್ನಡ Українська አማርኛ Kinyarwanda Oromoo ไทย Lietuvių Српски मराठी ਪੰਜਾਬੀ دری Malagasy ភាសាខ្មែរالشرح
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন যে আল্লাহ পবিত্র, নিষ্পাপ, সমস্ত ত্রুটি এবং দোষের ঊর্ধ্বে এবং পরিপূর্ণতার গুণে বিশেষিত, তিনি পবিত্র আমল, কথা ও বিশ্বাস ছাড়া কিছুই গ্রহণ করেন না; আর তা হল একমাত্র আল্লাহ্র জন্য খালিস এবং নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনা মোতাবেক আমল। এই আমল ছাড়া আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভ করা সম্ভব নয়। মুমিনের জন্য পবিত্র আমল হাসিল হওয়ার সবচেয়ে বড় উপায় হল তার পবিত্র খাদ্য এবং তা যেন হালাল হয়। আর এইভাবে তার আমল বিশুদ্ধ হবে। এই কারণে আল্লাহ তা‘আলা রাসূলদেরকে যে পবিত্র খাবার খাওয়া ও নেক আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন মুমিনদেরকেও তার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} “হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর এবং সৎকর্ম কর, নিশ্চয়ই তোমরা যা কর আমি তা জানি”। এবং তিনি বললেনঃ {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} “হে ঈমানদারগণ, আমরা তোমাদেরকে যে উত্তম জিনিস দিয়েছি তা থেকে খাও”। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হারাম জিনিস খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন যা আমলকে নষ্ট করে এবং তা কবূল হওয়া থেকে বিরত রাখে, কবূল করার যত উপায় গ্রহণ করা হউক না কেনো। তার মধ্যে হল: প্রথমত: আনুগত্যের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ দীর্ঘায়িত করা যেমন হজ, জিহাদ, আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা ইত্যাদি। দ্বিতীয়তঃ চিরুনি না করার কারণে এলোমেলো চুল হয়ে যাওয়া এবং ময়লার (মাটির) কারণে তার রং ও তার কাপড়ের রংপরিবর্তিত হওয়া, অধিকন্তু সে অসহায়। তৃতীয়ত: তিনি দোয়া করতে দু'হাত আকাশে উত্তোলন করেন। চতুর্থত: সে আল্লাহর নামসমূহের উসিলায় প্রার্থনা করে এবং এই বলে অনুনয় করে: হে রব, হে রব! দোয়া কবূলের এই কারণগুলি থাকা সত্ত্বেও তার দোয়া শোনা হয়নি; কারণ তার খাবার, পানীয়, পোশাক সবই হারাম এবং হারাম খাবার খাওয়ানো হয়েছে তাকে, তাই এই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কারো ডাকে সাড়া দেওয়া অসম্ভব। আর কিভাবেই তার দোয়া কবূল করা হবে?فوائد الحديث
আল্লাহ তা‘আলার সত্ত্বা, তাঁর গুণাবলী, তাঁর কর্ম এবং তাঁর বিধানাবলীতে তাঁর পরিপূর্ণতা।
একমাত্র আল্লাহর জন্য আমলকে নিবেদিত করা এবং নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করার আদেশ।
যা আমলের প্রতি উৎসাহিত করে তা ব্যবহার করা, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদেরকে তা করতে আদেশ করেছেন যা তিনি রসূলদের আদেশ করেছেন”; যদি এটা মুমিনগণ জানে যে এটি রাসূলদের আদেশগুলির মধ্যে একটি, তখন সে অনুকরণ করতে শক্তিশালী ও উৎসাহিত হবে।
দোয়া কবুল না হওয়ার অন্যতম বাধা হল হারাম খাবার খাওয়া।
দোয়া কবুলের পাঁচটি উপায়: একটি হল: দোয়া কবুলের সবচেয়ে বড় উপায় বিনয়, ভঙ্গতা সম্পন্ন ইবাদতে দীর্ঘ সফর করা। দ্বিতীয়: উপায়হীনতার হালত। তৃতীয় হল: আসমানের প্রতি দু’হাত প্রসারিত করা। চতুর্থ: আল্লাহর রুবুবিয়্যাহকে বারবার উল্লেখ করে আঁকুতি করা, যার ফলে দোয়া কবুল হওয়ার বেশী আশা করা হয় তার ভেতর এটি অন্যমত। পঞ্চম: খাবার ও পানীয় পবিত্র হওয়া।
পবিত্র হালাল খাবার খাওয়া নেক আমল করার জন্য একটি সহায়ক উপায়।
কাজী রহ. বলেন: ভাল (তাইয়্যেব) হল মন্দের (খবিসের) বিপরীত। যখন তিনি এর দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার বিশেষণ বর্ণনা করেন, তখন তার অর্থ হল তিনি ত্রুটি থেকে মুক্ত এবং দুর্বলতা থেকে পবিত্র। যখন এর দ্বারা সাধারণভাবে বান্দাকে বিশেষিত করা হবে তখন তার অর্থ হল বান্দা খারাপ আচরণ ও খারাপ আমল থেকে মুক্ত এবং তার বিপরীতে ভালো জিনিসে বিশেষিত। যখন এটি দ্বারা সম্পদকে বিশেষিত করা হবে তখন তার দ্বারা উদ্দেশ্য হল ভালো সম্পদ থেকে হালাল সম্পদ।