মনে রাখো, আমার রব আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন তোমাদের শিখাই যা তোমরা জানো না। আজকের এই দিনে তিনি আমাকে যা শিক্ষা…

মনে রাখো, আমার রব আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন তোমাদের শিখাই যা তোমরা জানো না। আজকের এই দিনে তিনি আমাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন, তা হচ্ছে: যে সব মাল আমি কোন বান্দাকে দিয়েছি তা হালাল। আমি আমার সব বান্দাদের মুসলিম হিসেবে সৃষ্টি করেছি। শয়তান তাদের কাছে এসে তাদেরকে দীন থেকে বিচ্যুত করেছে এবং আমি তাদের জন্য যা হালাল করি তা সে তাদের জন্য হারাম করে দেয় এবং সে তাদের নির্দেশ দেয় যাতে তারা আমার সাথে শির্ক করে যার ওপর কোন দলীল প্রেরণ করা হয়নি।

ইয়ায ইবন হিমার আল মুজাশি‘ঈ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় ভাষণে বলেন, মনে রাখো, আমার রব আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন তোমাদের শিখাই যা তোমরা জানো না। আজকের এই দিনে তিনি আমাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন, তা হচ্ছে: যে সব মাল আমি কোন বান্দাকে দিয়েছি তা হালাল। আমি আমার সব বান্দাদের মুসলিম হিসেবে সৃষ্টি করেছি। শয়তান তাদের কাছে এসে তাদেরকে দীন থেকে বিচ্যুত করেছে এবং আমি তাদের জন্য যা হালাল করি তা সে তাদের জন্য হারাম করে দেয় এবং সে তাদের নির্দেশ দেয় যাতে তারা আমার সাথে শির্ক করে যার ওপর কোন দলীল প্রেরণ করা হয়নি। আল্লাহ যমীনবাসীর দিকে তাকালে কেবল আহলে কিতাবের কতক অনুসারী ছাড়া আরব আজম সবার ওপর তিনি ক্ষুব্ধ হন। তিনি বলেন, আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি যাতে তোমাকে এবং তোমাকে যাদের কাছে পাঠিয়েছি তাদেরকে পরীক্ষা করি। আমি তোমার ওপর কিতাব নাযিল করেছি যা পানি মুছে ফেলতে পারবে না। তা তুমি জাগ্রত ও ঘুমন্ত উভয় অবস্থায় পাঠ করবে। আল্লাহ আমাকে নির্দেশ দেন আমি যেন কুরাইশকে জ্বালিয়ে দেই। তখন আমি বললাম, হে রব, তখন তারা আমার মাথা ফাটিয়ে রুটির মতো টুকরা করে ফেলবে। তিনি বললেন, তোমাকে যেভাবে বের করেছে তুমি তাদের সেভাবে বের করে দাও। তুমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর আমি তোমার সাহায্য করব। তুমি খরচ করো তোমার ওপর খরচ করা হবে। তুমি তাদের বিরুদ্ধে সৈন্য দল পাঠাও আমি তার মতো পাঁচটি দল পাঠাবো। যারা তোমার আনুগত্য করে তাদের নিয়ে যারা তোমার নাফরমানি করে তাদের সাথে যুদ্ধ কর। তিনি বললেন: জান্নাতি তিন শ্রেণির লোক। ইনসাফগার, দানশীল ও সৎ কর্মকারী বাদশাহ। প্রতিটি আত্মীয় ও মুসলিমের প্রতি দয়ালু দিলদার। আর পরিবার ওয়ালা কারো কাছে চায় না। আর জাহান্নামী হলো পাঁচ শ্রেণির লোক। দৃর্বল যার কোন জ্ঞান বুদ্ধি নেই। তোমাদের অনুসারীগণ যারা স্ত্রীও চায় না এবং সম্পদও চায় না। খিয়ানতকারী যার লোভী হওয়া স্পষ্ট যখনই সুযোগ পায় সে খিয়ানত করে। আর এমন লোক যে এমন কোন সকাল বা বিকাল নাই কিন্তু সে তোমার মাল ও আহল বিষয়ে ধোকা দেয় না। আরও উল্লেখ করেন কৃপণ, মিথ্যুক এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহারকারী ব্যক্তিকে।

[সহীহ] [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় সাহাবীগণের মধ্যে ভাষণ দেন। তিনি তাদের জানিয়ে দেন যে, আল্লাহ তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আজকের দিনে যা তিনি তাকে শিখিয়েছেন তা যেন তাদেরকে তিনি শিখিয়ে দেন, যা তারা জানে না। অর্থাৎ তাকে তার রব যা শিখিয়েছেন তা হতে একটি হলো, “যে সব মাল আমি কোন বান্দাকে দিয়েছি তা হালাল।” অর্থাৎ, আল্লাহ বলেন, আমি আমার বান্দাদের থেকে যাকে কোন মাল দিয়েছে তা তার জন্য হালাল। এ দ্বারা উদ্দেশ্য, তারা তাদের নিজেদের ওপর বিভিন্ন ধরনের জন্তুকে যে হারাম করেছিল তা অস্বীকার করা। আর তা তাদের হারাম করার কারণে হারাম হয়নি। যে কোন মাল কোন বান্দা যখন তার মালিক হয়, তা তার জন্য তা হালাল। যতক্ষণ না তার সাথে অন্যের অধিকার সম্পৃক্ত না হয় অথবা বিশেষ কোন প্রমাণ বর্ণিত না হয় যা তাকে হালাল হওয়ার ব্যাপকতা থেকে বের করে দেয়। তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “আমি আমার সব বান্দাদের মুসলিম হিসেবে সৃষ্টি করেছি।” বান্দাদের সবাইকে আমি মুসলিম করে সৃষ্টি করেছি। কেউ কেউ বলেন, গুনাহ থেকে পবিত্র। কেউ কেউ বলেন, সঠিক পথের অনুসারী, হিদায়াত কবুলের যোগ্য করে। কেউ কেউ বলেন, এ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো রুহ জগতে যখন তাদের থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেন এবং তিনি বলেন আমি কি তোমাদের রব নই। তারা বলল, হ্যাঁ। আল্লাহর বাণী: শয়তান তাদের কাছে এসে তাদেরকে দীন থেকে বিচ্যুত করে এবং আমি তাদের জন্য যা হালাল করি তা সে তাদের জন্য হারাম করে দেয় এবং সে তাদের নির্দেশ দেয় যাতে তারা আমার সাথে শির্ক করে যার ওপর কোন দলীল প্রেরণ করা হয়নি। অর্থাৎ, তাদের নিকট শয়তানগুলো আসলো এবং তাদের কু-মন্ত্রণা দিল এবং নিয়ে গেল বাতিলের দিকে এবং তারা যার ওপর ছিল তা থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দিল। আর আল্লাহ তাদের জন্য যা হালাল করেছিল তা তাদের ওপর হারাম করে দিল। আর যাদের ইবাদত করার নির্দেশ আল্লাহ তাদের দেননি এবং তাদের ইবাদতের হকদার হওয়ার ওপর কোন দলীল দাঁড়া করাননি তাদের ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে শির্ক করার আদেশ দিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: আল্লাহ যমীনবাসীর দিকে তাকালেন কেবল আহলে কিতাব থেকে কতক অনুসারী ছাড়া আরব আজম সবার ওপর তিনি ক্ষুব্ধ হলেন। অর্থাৎ আল্লাহ যমীনবাসীর দিকে রাসূলকে প্রেরণ করার পূর্বে তাকান। তখন তাদের তিনি শির্ক ও গোমরাহীর ওপর একাট্টা দেখতে পান। তিনি তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হলেন কেবল আহলে কিতাবীদের অবশিষ্ট কতক লোক ছাড়া। তারা কোন প্রকার বিকৃতি ছাড়া তাদের হক দীনের ওপর মজবুতভাবে অটল ছিল। আর অধিকাংশ আহলে কিতাবী বিকৃতির ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। আল্লাহ সুবহানাহুর বাণী: “আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি যাতে তোমাকে এবং তোমাকে যাদের কাছে পাঠিয়েছি তাদেরকে পরীক্ষা করি।” অর্থাৎ আমি তোমাকে মানুষের নিকট প্রেরণ করেছি যাতে আমি তোমাকে তাবলীগে রিসালাত, আল্লাহর রাস্তায় যথাযথ জিহাদ করা, আল্লাহর জন্য ধৈয্য ধারণ ইত্যাদির যে আদেশ দিয়েছে তা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে তোমার থেকে যা প্রকাশ পায় তা দ্বারা তোমাকে পরীক্ষা করতে পারি। আর আমি তোমার দ্বারা পরীক্ষা করব তাদেরকে যাদের নিকট তোমাকে পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে কতক এমন হবে যারা ঈমানকে প্রকাশ করবে এবং তার আনুগত্য করার ব্যাপারে খালেস হবে। আর তাদের থেকে কিছু হবে যারা পিছনে পড়ে থাকবে এবং দুশমনি ও কুফরী প্রকাশ করবে। আর তাদের মধ্যে কতক থাকবে যারা মুনাফেকী করবে। উদ্দেশ্য হলো এসব তিনি পরীক্ষা করবেন যাতে বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে যায়। কারণ আল্লাহ বান্দাদের কেবল তার ওপর শাস্তি দেবেন যা তাদের থেকে বাস্তবায়িত হয়েছে। বাস্তবায়ন হওয়ার পূর্বে যা জানতেন তার ওপর তাদের শাস্তি দেবেন না। অন্যথায় আল্লাহ সমস্ত কিছু সংঘটিত হওয়ার পূর্বেই জানেন। আমি তোমার ওপর কিতাব নাযিল করেছি যা পানিতে ধুইতে পারে না। অর্থাৎ আমি তোমার ওপর কিতাব নাযিল করেছি। আর তা মানুষের অন্তরে সংরক্ষিত। চলে যাওয়া কোন সম্ভাবনা তাতে নাই। বরং যুগ যুগ ধরে তা অবশিষ্ট থাকবে। তার বাণী: তা তুমি জাগ্রত ও ঘুমন্ত উভয় অবস্থায় সংরক্ষণ করবে। এর অর্থ, তোমার ঘুম ও জাগ্রত থাকা উভয় অবস্থায় তা তোমার জন্য সংরক্ষিত থাকবে। কেউ কেউ বলেছেন, তুমি তা সহজে ও আরামে পড়বে। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: “আল্লাহ আমাকে নির্দেশ দেন আমি যেন কুরাইশকে জ্বালিয়ে দেই”। অর্থাৎ আল্লাহ আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন কুরাইশ কাফিরদের ধ্বংস করি এবং তাদের হত্যা করি। “তখন আমি বললাম, হে রব, তখন তারা আমার মাথা ফাটিয়ে রুটির মতো টুকরা করে ফেলবে।” অর্থাৎ, তারা আমার মাথা ফাটাবে যেভাবে রুটি টুকরা করা হয়ে থাকে। তিনি বললেন, তোমাকে যেভাবে বের করেছে তুমি তাদের সেভাবে বের করে দাও। অর্থাৎ আল্লাহ তার নবীকে বললেন, কুরাইশের কাফেরদের সেভাবে বের কর যেভাবে তারা তোমাকে বের করেছে, যাতে তা পুরিপুরি প্রতিদান হয়ে যায়। যদিও দুই বের করার মধ্যে স্পষ্ট প্রার্থক্য রয়েছে। কারণ, তাকে বের করা ছিল বাতিলের ভিত্তিতে আর তাদের বের করা হবে হকের ভিত্তিতে। “তুমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর আমি তোমার সাহায্য করব।” অর্থাৎ তুমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর আমি তোমাকে সাহায্য ও সহযোগীতা করব। তুমি খরচ করো তোমার ওপর খরচ করা হবে। অর্থাৎ তোমার সাধ্য অনুযায়ী তুমি আল্লাহর রাস্তায় খরচ কর, তার বিনিময়ে দুনিয়া ও আখিরাতে আমি তোমাকে বদলা দেব। তুমি তাদের বিরুদ্ধে সৈন্য দল পাঠাও আমি তার মতো পাঁচটি দল পাঠাবো। অর্থাৎ যখন তুমি কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য একটি সৈন্যদল পাঠাবে ফিরিশতাদের থেকে তার মতো পাঁচটি সৈন্যদল পাঠাবো যারা মুসলিমদের সাহায্য করবে। যেমনটি করেছিল বদরের যুদ্ধে। আর যারা তোমার আনুগত্য করে তাদের নিয়ে যারা তোমার নাফরমানি করে তাদের সাথে যুদ্ধ কর। অর্থাৎ মুসলিমদের থেকে যারা তোমার আনুগত্য করছে তাদের নিয়ে যে সব কাফির তোমার নাফরমানি করছে তাদের সাথে যুদ্ধ কর। তিনি বলেন, জান্নাতী হলো তিন শ্রেণির লোক। ইনসাফগার, দানশীল ও সৎ কর্মকারী বাদশাহ। প্রতিটি আত্মীয় ও মুসলিমের প্রতি দয়ালু দিলদার ব্যক্তি। আর পরিবার ওয়ালা যে কারো কাছে চায় না। অর্থাৎ জান্নাতী হলো তিন শ্রেণির লোক। এক ব্যক্তি যিনি বিচারক, ক্ষমতাশীল ও বিজয়ী তা সত্বেও সে মানুষের মাঝে ইনসাফ করে তাদের প্রতি জুলম করে না এবং তাদের প্রতি দয়া করেন। তার জন্য কল্যাণের যাবতীয় উপকরণসমূহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং নেক কাজের সব দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়েছে। আর এক ব্যক্তি হলো যে ছোট ও বড়দের প্রতি দয়ালু। সব আত্মীয়ের প্রতি বিশেষ করে এবং সমস্ত মুসলিমের প্রতি ব্যাপকহারে দয়ালু। আর এক ব্যক্তি যার আওলাদ ও পরিবারের সদস্য বেশি তা সত্বেও সে হারাম থেকে বেঁচে থাকে, মানুষের নিকট হাত পাতা থেকে বিরত থাকে। তার নিজের ও পরিবারের ব্যাপারে আল্লাহর ওপরই ভরসা করেন। পরিবারে প্রতি মহব্বত এবং তাদের রিযিকের ভয় মানুষের কাছে হাত পাতার মাধ্যমে আল্লাহর ওপর ভরসা করা ছেড়ে দেওয়ার প্রতি কোন কিছু তাকে উৎসাহিত করতে পারে না। হারাম মাল উপার্জন করা এবং তার করনীয় আমল এবং ইলম হাসিল করা থেকে তাকে কোন কিছু বিরত রাখে না। আর জাহান্নামী হলো পাঁচ শ্রেণির লোক। দৃর্বল যার কোন জ্ঞান বুদ্ধি নেই। তোমাদের অনুসারীগণ যারা স্ত্রীও চায় না এবং সম্পদও চায় না। খিয়ানতকারী যার লোভী হওয়া স্পষ্ট যখনই সুযোগ পায় সে খিয়ানত করে। আর এমন লোক যে এমন কোন সকাল বা বিকাল নাই কিন্তু সে তোমার মাল ও আহল বিষয়ে তোমাকে ধোঁকা দেয় না। আরও উল্লেখ করেন কৃপণ, মিথ্যুক এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহারকারী ব্যক্তিকে। অর্থাৎ পাঁচ শ্রেণির লোক জাহান্নামী। তাদের প্রথম শ্রেণি হলো, দুর্বল লোক যার কোন বুদ্ধি-জ্ঞান নেই। অর্থাৎ উচিত নয় এমন কাজ থেকে বারণকারী যার বিবেক নেই। “তোমাদের ভেতর অনুগতরা যারা পরিবার ও সন্তান চায় না”। অর্থাৎ খাদেম যারা স্ত্রী চায় না। তারা হালাল থেকে বিরত থাকে এবং হারামে লিপ্ত হয়। আর তারা কামাই করা এবং উত্তমা উপার্জন করার মাধ্যমে হালাল সম্পদ অনুসন্ধান করে না। দ্বিতীয় হলো, খিয়ানতকারী যার লোভী হওয়া স্পষ্ট যদিও সামান্য বিষয় হয় সে খিয়ানত করে। যাতে লোভ করা সম্ভব এমন কোন বস্তু তার কাছে গোপন নয়। সে যখনই সুযোগ পায় তার অনুসন্ধান করতে এবং তার সম্পর্কে অবগত হতে সে চেষ্টা করে। তারপর যখনই সে সুযোগ পায় তখনই সে খিয়ানত করে। এটি খিয়ানাতের সাথে গুনান্বিত করার ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন করা। তৃতীয় ব্যক্তি: ধোঁকাবাজ। চতুর্থ: মিথ্যুক বা কৃপণ। পঞ্চম: দুশ্চিরিত্রবান ও অশ্লিল ব্যক্তি।

التصنيفات

জিন, জান্নাত ও জাহান্নামের গুণাগুণ