যে ব্যক্তি এ দুআ পড়বে, অর্থাৎ, আমি সেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। যিনি…

যে ব্যক্তি এ দুআ পড়বে, অর্থাৎ, আমি সেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব, অবিনশ্বর। এবং আমি তাঁর কাছে তওবা করছি। সে ব্যক্তির পাপরাশি মার্জনা করা হবে; যদিও সে রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে (যাওয়ার পাপ করে) থাকে।

ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি এ দুআ পড়বে, অর্থাৎ, আমি সেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব, অবিনশ্বর। এবং আমি তাঁর কাছে তওবা করছি। সে ব্যক্তির পাপরাশি মার্জনা করা হবে; যদিও সে রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে (যাওয়ার পাপ করে) থাকে।”

[সহীহ] [এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

যে ব্যক্তি এ দুআ পড়বে, অর্থাৎ, আমি সেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব, অবিনশ্বর। এবং আমি তাঁর কাছে তওবা করছি। সে ব্যক্তির পাপরাশি মার্জনা করা হবে; যদিও সে রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে (যাওয়ার পাপ করে) থাকে। মনে রাখতে হবে যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা একটি হাদীসে বর্ণিত সাতটি ধ্বংসাত্মক কবীরাহ গুনাহের একটি। যাতে বলা হয়, “যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা”। আর অর্থটি সঠিক হবে যখন এ দ্বারা উদ্দেশ্য হয় যে লোকটি সমস্ত গুনাহ থেকে তাওবা করেছে। এমনকি যুদ্ধের থেকে পলায়নের গুনাহ থেকেও। অন্যথায় একজন মানুষ গোনাহের ওপর বাকী থেকে শুধু ক্ষমা চাওয়া দ্বারা কোন লাভবান হবে না, বরং পাপ থেকে তাওবার করে যখন এটি বলবে তখনই উপকৃত করবে।

التصنيفات

মহান আল্লাহর যিকির করার ফায়দা