إعدادات العرض
1- পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক
2- কোন ব্যক্তি যখন নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় ও আহারের সময় আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করে; অর্থাৎ, (‘বিসমিল্লাহ’ বলে) তখন শয়তান তার অনুচরদেরকে বলে, ‘আজ না তোমরা এ ঘরে রাত্রি যাপন করতে পারবে, আর না খাবার পাবে।’ অন্যথায় যখন সে প্রবেশ কালে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ না করে (অর্থাৎ ‘বিসমিল্লাহ’ না বলে), তখন শয়তান বলে, ‘তোমরা রাত্রি যাপন করার স্থান পেলে।’
3- মহান আল্লাহ বলেছেন, “আমার প্রতি বান্দার ধারণা অনুযায়ী আমি তার সঙ্গে আচরণ করি। আর আমি (জানা ও দেখার মাধ্যমে) তার সাথে থাকি যখন সে আমাকে স্মরণ করে।
4- যখন তোমাদের কেউ নিদ্রা যায় তখন) তার গ্রীবাদেশে শয়তান তিনটি করে গাঁট বেঁধে দেয়; প্রত্যেক গাঁটে সে এই বলে মন্ত্র পড়ে যে, ‘তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি ঘুমাও।
5- যে ব্যক্তি তার রবের যিকির করে এবং যে তা করে না, তাদের উদাহরণ জীবিত ও মৃত ব্যক্তির মতো।
6- কতক তাসবীহ রয়েছে প্রতিটি ফরয সালাতের পর যে ব্যক্তি এগুলো পাঠ করবে সে হতাশ হবে না।
7- “শয়তান তোমাদের মধ্য হতে একজনের কাছে আগমন করে জিজ্ঞাসা করতে থাকে: এটি কে সৃষ্টি করেছে? এটি কে সৃষ্টি করেছে? এক পর্যায়ে সে বলে: তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছে? অতএব যখন কেউ এ পর্যায়ে এসে পৌঁছাবে, সে যেন আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং বিষয়টি থেকে বিরত থাকে।”
8- তোমাদের কোন ব্যক্তি প্রত্যহ এক হাজার নেকী অর্জন করতে অপারগ হবে কি?” তাঁর সাথে উপবিষ্ট ব্যক্তিদের একজন জিজ্ঞাসা করল, ‘কিভাবে এক হাজার নেকী অর্জন করবে?’ তিনি বললেন, “একশ’বার তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) পড়বে। ফলে তার জন্য এক হাজার নেকী লেখা হবে অথবা এক হাজার গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে।
9- যে ব্যক্তি বলবে, سُبحان الله وبِحَمْدِه তার জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপন করা হবে।
10- কেউ যখন বলে, (لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ) আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই আর আল্লাহ মহান। তখন তার রব তার এ কথা সত্যায়ন করে বলেন, (لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا، وَأَنَا أَكْبَرُ) হ্যাঁ, আমি ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই আর আমি মহান।
11- শয়তান বলেছে, হে রব! তোমার ইয্যতের শপথ, যতদিন পর্যন্ত তোমার বান্দার রুহসমূহ দেহের মধ্যে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত আমি তাদের গোমরাহ করতে থাকবো। রাব্বুল আলামীন বলেন, আমি আমার ইয্যত ও মহত্বের শপথ করে বলছি যতদিন পর্যন্ত তারা আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত আমি তাদের ক্ষমা করতে থাকবো।
12- যে ব্যক্তি এ দুআ পড়বে, অর্থাৎ, আমি সেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব, অবিনশ্বর। এবং আমি তাঁর কাছে তওবা করছি। সে ব্যক্তির পাপরাশি মার্জনা করা হবে; যদিও সে রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে (যাওয়ার পাপ করে) থাকে।