তোমাদের যারা অনুপুস্থিত আছে উপস্থিত লোকেরা যেন তাদের নিকট পৌছে দেয়। তোমরা ফজর উদয় হওয়ার পর দুই রাকা‘আত ছাড়া আর…

তোমাদের যারা অনুপুস্থিত আছে উপস্থিত লোকেরা যেন তাদের নিকট পৌছে দেয়। তোমরা ফজর উদয় হওয়ার পর দুই রাকা‘আত ছাড়া আর কোন সালাত আদায় করবে না।

ইবন উমারের কৃতদাস ইয়াসার বলেন, ফজর উদয় হওয়ার পর ইবন উমার আমাকে সালাত আদায় করতে দেখেন। তখন সে বলল, হে ইয়াসার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট দিয়ে বের হলো আর আমরা এ সালাত পড়তেছিলাম। তখন সে বলল, তোমাদের যার অনুপুস্থিত আছে উপস্থিত লোকেরা যেন তাদের নিকট পৌছে দেয়। তোমরা ফজর উদয় হওয়ার পর দুই রাকা‘আত ছাড়া আর কোন সালাত আদায় করবে না।

[সহীহ] [এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা ইয়াসার— —কে দেখলেন, ফজর উদয় হওয়ার পর ফজরের সালাতের পূর্বে নফল সালাত আদায় করতে দেখেন। হতে পারে সে দু্ই রাকা‘আতের বেশি পড়ছে। তখন সে তাকে বলল, হে ইয়াসার! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট দিয়ে বের হলো আর আমরা এ সালাত পড়তেছিলাম। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজর উদয়ের পর সালাতের পূর্বে ফজরের সুন্নাতের অতিরিক্ত তাদের নফল সালাত আদায় করতে দেখেন। তখন সে বললেন, তোমাদের যারা উপস্থিত আছে তারা যেন অনুপুস্থিত লোদের নিকট পৌছে দেয়। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে, মজলিসে উপস্থিত ব্যক্তি এ থেকে অনুপুস্থিত লোক এ কথাগুলো জানিয়ে দেবে। “তোমরা ফজর উদয় হওয়ার পর দুই রাকা‘আত ছাড়া আর কোন সালাত আদায় করবে না।” ইমাম আহমাদের বর্ণনা এসে সমর্থন করে। তাতে বলা হয়, ফজর উদয়ের পর দুই রাকা‘আত ফজরের সুন্নাত ছাড়া আর কোন সালাত নাই। অর্থাৎ, ফজর উদয়ের পর কোন নফল সালাত নেই। কেবল দুই রাকা‘আত সুন্নাত। আর তার বাণী: দুই সেজদা, পরিপূর্ন দুই রাকা‘আত। এটি হলো কিছু ব্যবহার করে পুরোটিকে উদ্দেশ্য নেওয়া। যেমনটি পূর্বের বর্ণনা তা ব্যাখ্যা করেছেন।

التصنيفات

সালাত নিষিদ্ধের সময়সমূহ