إعدادات العرض
কেবল দু’টি বিষয়ে ইর্ষা করা যায়: (১) যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দিয়েছেন এবং তাকে বৈধ পন্থায় অকাতরে ব্যয় করার ক্ষমতাও…
কেবল দু’টি বিষয়ে ইর্ষা করা যায়: (১) যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দিয়েছেন এবং তাকে বৈধ পন্থায় অকাতরে ব্যয় করার ক্ষমতাও দিয়েছেন।(২) যাকে আল্লাহ তাআলা প্রজ্ঞা দান করেছেন। সে তার মাধ্যমে বিচার ফয়সালা করে ও তা অন্যকে শিক্ষা দেয়।
ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে মারফূ হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘কেবল দু’জন ব্যক্তি ঈর্ষার পাত্র। সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ ধন-সম্পদ দান করেছেন এবং তাকে তা সৎপথে ব্যয় করার শক্তিও দিয়েছেন। আর সেই লোক যাকে আল্লাহ জ্ঞান-বুদ্ধি দান করেছেন, যার বদৌলতে সে বিচার-ফায়সালা করে থাকে ও তা অপরকে শিক্ষা দেয়।’’ আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘দু’জনের ক্ষেত্রে ঈর্ষা করা সিদ্ধ। [১] যাকে আল্লাহ কুরআন [মুখস্থ করার শক্তি] দান করেছেন, সুতরাং সে ওর [আলোকে] দিবা-রাত্রি পড়ে ও আমল করে। [২] যাকে আল্লাহ তা'আলা ধন-সম্পদ দান করেছেন এবং সে [আল্লাহর পথে] দিন-রাত ব্যয় করে।’’
[সহীহ] [উভয় বর্ণনা মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी Hausa Kurdîالشرح
এখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইঙ্গিত করেছেন যে, হিংসা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তার মধ্যে এক প্রকার হিংসা নিন্দনীয় এবং শরীয়তে নিষিদ্ধ। আর তা হচ্ছে, কোনো মানুষ তার ভাইয়ের নেয়ামতের ধ্বংস কামনা করা। আরেক প্রকার হিংসা হচ্ছে মুবাহ।অন্যের পার্থিব নেয়ামত দেখে নিজের জন্য অনুরূপ নেয়ামতের আশা করা প্রশংসীয় হিংসা। শরীয়তের দৃষ্টিতে এটি মুস্তাহাব। আর এটিই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর এ বাণী দ্বারা বুঝিয়েছেন, “একমাত্র দু’টি বিষয়েই হিংসা করা যায়।” অর্থাৎ হিংসার প্রকারের ভিন্নতা অনুযায়ী তার আহকামও বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। দু’টি ক্ষেত্র ব্যতীত শরীয়তে তা প্রশংসনীয় ও মুস্তাহাব হতে পারে না। প্রথমটি হলো, এমন ধনী ও তাকওয়াবান ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ তাআলা হালাল সম্পদ দিয়েছেন। অতঃপর সে তা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে। সুতরাং তার মতো হওয়া এবং তাকে এই নেয়ামতের জন্য হিংসা করা বৈধ। দ্বিতীয়টি হলো, এমন আলেম যাকে আল্লাহ তাআলা উপকারী জ্ঞান দিয়েছেন। সে ইলম অনুযায়ী আমল করে, তা অন্যকে শিক্ষা দেয় এবং এর মাধ্যমে মানুষের মাঝে বিচার ফয়সালা করে। অনুরূপ ব্যক্তি হওয়ার আশা করা মুস্তাহাব।