إعدادات العرض
আল্লাহর কসম! তোমাদের মধ্যে কেউ আপন পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে শপথকারী হয়ে তাতে সুদৃঢ়ভাবে অবস্থানকারী হয়ে থেকে গেলে…
আল্লাহর কসম! তোমাদের মধ্যে কেউ আপন পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে শপথকারী হয়ে তাতে সুদৃঢ়ভাবে অবস্থানকারী হয়ে থেকে গেলে সে আল্লাহর নিকট অধিক গুনাহগার বিবেচিত হবে, উক্ত শপথ ভঙ্গ করে আল্লাহ তা‘আলা তার ওপর যে কাফফারা আদায় করা অপরিহার্য করে দিয়েছেন তা প্রদান করে শপথকৃত কাজে ফিরে যাওয়ার চেয়ে।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কসম! তোমাদের মধ্যে কেউ আপন পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে শপথকারী হয়ে তাতে সুদৃঢ়ভাবে অবস্থানকারী হয়ে থেকে গেলে সে আল্লাহর নিকট অধিক গুনাহগার বিবেচিত হবে, উক্ত শপথ ভঙ্গ করে আল্লাহ তা‘আলা তার ওপর যে কাফফারা আদায় করা অপরিহার্য করে দিয়েছেন তা প্রদান করে শপথকৃত কাজে ফিরে যাওয়ার চেয়ে।
[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी සිංහල ئۇيغۇرچە Hausa Kurdîالشرح
হাদীসের অর্থ: যখন কোনো মুসলিম আপন পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে এমন শপথ করে যা তার পরিবার-পরিজনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ততা ও অকল্যাণ বয়ে আনে; অথচ সে উক্ত শপথ থেকে ফিরে আসলে আল্লাহর অবাধ্যতাও (গুনাহ) হবে না; অতঃপর সে যদি পরিবারের ব্যাপারে কৃত শপথে দৃঢ় থাকতে সীমালঙ্ঘন ও বাড়াবাড়ি করে তাহলে (آثَمُ له عند الله تعالى) সে আল্লাহর নিকট গুনাহগার হবে। অর্থাৎ এ ধরনের কাজ করা অত্যধিক গুনাহ ও মারাত্মক অপরাধ। (ن يُعْطِي كَفَّارَتَهُ التي فرض الله. عليه) অর্থাৎ সে উক্ত শপথ ভঙ্গ করে আল্লাহ তা‘আলার অপরিহার্য কাফফারা আদায় করে দেয়ার তুলনায় বেশী গুনাহগার হবে। অর্থাৎ যথন শপথ থেকে ফিরে আসাতে আল্লাহর নাফরমানী হয় না তখন তার জন্য অপরিহার্য হলো উক্ত শপথ থেকে ফিরে আসা এবং ফিরে আসার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘন না করা। বরং শপথের ওপর অটল থাকা ও এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করাই হলো আল্লাহর নাফরমানী ও গুনাহের কাজ। কেননা এতে রয়েছে পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ততা; অথচ আল্লাহ এ ব্যাপারে বান্দাহকে প্রশস্ততা দিয়েছেন। সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ শপথ করলে সে যদি দেখে শপথের বিপরীত কাজটি উত্তম তাহলে সে যেন উত্তম কাজটি করে এবং শপথের জন্য কাফফারা আদায় করে দেয়।” দেখুন, ইমাম নাওয়াবী রহ. এর শরহে মুসলিম, (১১/১২৩); ফাতহুল বারী, (১১/৫১৯); মিরকাতুল মাফাতীহ, (৬/২২৩৯)التصنيفات
কসম