إعدادات العرض
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, “হে আল্লাহর রাসূল! আমি হদ্দ তথা শরী‘আত…
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, “হে আল্লাহর রাসূল! আমি হদ্দ তথা শরী‘আত নির্ধারিত শাস্তি পাওয়ার যোগ্য কাজ করে ফেলেছি। সুতরাং আপনি আমার ওপর তা প্রয়োগ করুন।
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, “হে আল্লাহর রাসূল! আমি হদ্দ তথা শরী‘আত নির্ধারিত শাস্তি পাওয়ার যোগ্য কাজ করে ফেলেছি। সুতরাং আপনি আমার ওপর তা প্রয়োগ করুন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন সালাতের ওয়াক্ত হলো এবং লোকটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সালাত আদায় করল। সালাত শেষ হলে লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি হদ্দ তথা শরী‘আত নির্ধারিত শাস্তি পাওয়ার যোগ্য কাজ করে ফেলেছি। সুতরাং আপনি আল-কুরআনের বিধান অনুসারে আমার ওপর শাস্তি প্রয়োগ করুন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কি আমাদের সঙ্গে সালাতে ছিলে? লোকটি বলল, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাকে ক্ষমা করা হয়েছে।”
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी Tiếng Việt සිංහල Kurdî தமிழ்الشرح
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি হদ্দ তথা শরী‘আত নির্ধারিত শাস্তি পাওয়র যোগ্য কাজ করে ফেলেছি। সুতরাং আপনি আমার ওপর তা প্রয়োগ করুন। অর্থাৎ আল্লাহর বিধান অনুযায়ী তা আমার ওপর প্রয়োগ করুন। বর্ণনাকারী আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কী ধরনের অপরাধ করেছ সে সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞাসা করেন নি। কেউ কেউ বলেন, কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অহীর মাধ্যমে তার কৃত অপরাধটি ও তা ক্ষমা হয়ে যাওয়া সম্পর্কে জানতেন। তখন কোনো এক সালাতের ওয়াক্ত অথবা আসর সালাতের ওয়াক্ত হয়েছিল এবং সে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সে ওয়াক্তের সালাত আদায় করেন। সালাত শেষে লোকজন চলে গেলে লোকটি আবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি হদ্দ তথা শরী‘আত নির্ধারিত শাস্তি পাওয়র যোগ্য কাজ করে ফেলেছি। সুতরাং আপনি আল-কুরআনের বিধান অনুসারে আমার ওপর শাস্তি প্রয়োগ করুন। অর্থাৎ কুরআন ও সুন্নাহ অনুসারে আমার ওপর শাস্তি প্রয়োগ করুন। এর অর্থ হলো আমার ব্যাপারে যে কোনো হদ্দ বা অন্যকিছু প্রযোজ্য হলে আমি সে অনুযায়ী আমল করব। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি কি আমাদের সঙ্গে সালাত আদায় করেছ? লোকটি বলল, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে আল্লাহ তোমার গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন অথবা তোমার শাস্তি মাফ করে দিয়েছেন। এখানে বর্ণনাকারীর সন্দেহ ছিল বলেই ‘অথবা’ বলা হয়েছে। শাস্তি বলতে শাস্তির কারণ বুঝানো উদ্দেশ্য। এখানে শাস্তি বা হদ্দের দ্বারা উদ্দেশ্য হলো দেশান্তরিত হওয়াসহ পরিপূর্ণ শাস্তি, আবার অন্য কিছুও উদ্দেশ্য হতে পারে। তবে এখানে প্রকৃত হদ্দ উদ্দেশ্য নয়, যেমন যিনা, মদ্য পান ইত্যাদি যেসব অপরাধের শাস্তি শরী‘আত কর্তৃক নির্ধারিত। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকটিকে তার কৃত অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা না করার হিকমত হলো তিনি তার ওযরের ধরন সম্পর্কে জানতেন। ফলে তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করেননি যাতে তার উপর হদ্দ কায়েম করতে না হয়। যেহেতু লোকটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানালে সে তাওবা করলেও তার ওপর উক্ত শাস্তি প্রয়োগ করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যেত। কেননা তাওবা হদ্দ রহিত করে না। তবে ডাকাতের তাওবা ও যিম্মি যিনা করে মুসলিম হলে তার তাওবার দ্বারা হদ্দ রহিত হয়ে যায় (তাদের ওপর হদ্দ কায়েম করা যাবে না)। যাই হোক হাদীসে সালাতের দ্বারা কবীরা গুনাহ মাফের স্পষ্ট কোনো কথা নেই; বরং কবীরা গুনাহ মাফের কথা বললে পূর্বে বর্ণিত ইজমা‘র কারণে তা তা‘বীল করতে হবে।التصنيفات
আত-তাওবাহ