إعدادات العرض
1- প্রত্যেক আদম সন্তানই গুনাহগার। আর গুনাহগারদের মধ্যে তাওবাকারীগণ উত্তম।
2- তুমি তোমার যবানকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখ, তোমার ঘর যেন তোমার জন্যে যথেষ্ট হয় আর স্বীয় গুনাহের জন্য ক্রন্দন কর।
3- ধু ধু ময়দানে উট হারানোর পর পুনরায় পেয়ে তোমাদের কেউ যেরূপ খুশি হয়, আল্লাহ তার চেয়েও বেশী খুশি হন বান্দার তাওবায়।
4- “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা বান্দার তওবাহ সে পর্যন্ত কবুল করবেন, যে পর্যন্ত তার প্রাণ কণ্ঠাগত না হয়।”
5- নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তার হাত রাতে প্রসারিত করেন যেন দিনের অপরাধীরা তাওবা করে এবং দিনে তার হাত প্রসারিত করেন যেন রাতের অপরাধীরা তাওবা করে, যে পর্যন্ত না পশ্চিম আকাশে সূর্য উঠবে।
6- যে ব্যক্তি পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় হওয়ার পূর্বে তাওবা করবে, আল্লাহ তার তাওবা গ্রহণ করবেন।
7- হে আদম সন্তান! যখন তুমি আমাকে ডাকবে ও আমার ক্ষমার আশা রাখবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করব, তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন; আমি কোনো পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমার গোনাহ যদি আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও, তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করব; আমি কোনো পরোয়া করি না।
8- এক ব্যক্তি এক মহিলাকে চুম্বন করে ফেলল। পরে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বিষয়টি অবগত করালো। তখন আল্লাহ তা‘আলা আয়াত নাযিল করেন: “আর আপনি সালাত কায়েম করুন দিবসের দু’প্রান্তে এবং রাতের প্রথম অংশে। নিশ্চয় ভালো কাজ মন্দ কাজকে মিটিয়ে দেয়।” (সূরা হূদ, আয়াত: ১১৪)
9- এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, “হে আল্লাহর রাসূল! আমি হদ্দ তথা শরী‘আত নির্ধারিত শাস্তি পাওয়ার যোগ্য কাজ করে ফেলেছি। সুতরাং আপনি আমার ওপর তা প্রয়োগ করুন।
10- তোমাদের পূর্বে যারা ছিলো তাদের মধ্যে এক লোক ছিলো যে নিরানব্বই জনকে হত্যা করেছিলো। সে পৃথিবীর সবচেয়ে জাননেওয়ালা ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলো। তাকে এক পাদ্রীকে দেখিয়ে দেওয়া হলো। সে তার কাছে গিয়ে বলল, সে নিরানব্বই জনকে হত্যা করেছে, তার কোনো তাওবা আছে? পাদ্রী বলল, না। তখন সে তাকেও হত্যা করলো।