নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত আদায়ের পর সূর্য স্পষ্টভাবে উদিত না হওয়া পর্যন্ত সালাতের…

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত আদায়ের পর সূর্য স্পষ্টভাবে উদিত না হওয়া পর্যন্ত সালাতের জায়গায় বসে থাকতেন

জাবের ইবন সামুরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত আদায়ের পর সূর্য স্পষ্টভাবে উদিত না হওয়া পর্যন্ত সালাতের জায়গায় বসে থাকতেন। জাবির আরও বলেন, রাসূল মসজিদের যে জায়গায় ফজরের সালাত (অথবা বলেছেন ভোরের সালাত) আদায় করতেন সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে উঠতেন না। সূর্য উদিত হওয়ার পর তিনি সেখান থেকে উঠতেন। লোকজন তখন জাহিলী যুগের ঘটনাবলী সম্পর্কে আলোচনা করত। এসব ঘটনা আলোচনা করতে গিয়ে লোকজন হাসত আর তা দেখে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হাসতেন।

[সহীহ] [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নতের মধ্যে ছিল—তিনি ফজরের সালাত আদায় করার পর তাঁর সালাতের জায়গায়ই বসে থাকতেন, যতক্ষণ না সূর্য উঁচু হয়ে ওঠে। তিনি সেই জায়গা থেকে উঠতেন না, যেখানে তিনি ফজরের সালাত আদায় করতেন, যতক্ষণ না সূর্য ওঠে। যখন সূর্য উঠে যেত, তখন তিনি উঠে যেতেন। সাহাবীগণ তখন নিজেদের ইসলাম-পূর্ব কিছু ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতেন, আর তিনি চুপচাপ শুনতেন। তারা হাসতেন, আর কখনও কখনও তিনি তাদের সঙ্গে মুচকি হাসতেন।

فوائد الحديث

ফজরের সালাতের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত আল্লাহর জিকির করা সুন্নত ও পছন্দনীয় এবং কোনো ওজর না থাকলে সেই সালাতের স্থানে বসে থাকা উত্তম।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উত্তম চরিত্র ও কোমল ব্যবহারের পরিচয় এতে পাওয়া যায়—তিনি সাহাবীদের সঙ্গে বসতেন, তাদের কথা ও ঘটনাবলী মনোযোগ দিয়ে শুনতেন এবং সেগুলো শুনে মুচকি হাসি দিতেন।

মাসজিদে বসে জাহিলি যুগের ঘটনা আলোচনা করা জায়েয।

হাসা ও মুচকি হাসি জায়েয, কারণ নিষিদ্ধ হলো অতিরিক্ত হাসি।

التصنيفات

মুহাম্মাদী শারীরিক ও চারিত্রিক গঠন, মসজিদের বিধানসমূহ