বিপদ যত বড় হবে, প্রতিদানও তত মহান হবে। আল্লাহ তা'আলা যখন কোনো জাতিকে ভালোবাসেন তখন তাদেরকে (বিপদে ফেলে) পরীক্ষা…

বিপদ যত বড় হবে, প্রতিদানও তত মহান হবে। আল্লাহ তা'আলা যখন কোনো জাতিকে ভালোবাসেন তখন তাদেরকে (বিপদে ফেলে) পরীক্ষা করেন। যে লোক তাতে (বিপদে) সন্তুষ্ট থাকে, তার জন্য রয়েছে (আল্লাহ্ তা'আলার) সন্তুষ্টি। আর যে লোক তাতে অসন্তুষ্ট হয় তার জন্য রয়েছে (আল্লাহ তা'আলার) অসন্তুষ্টি।

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, “বিপদ যত বড় হবে, প্রতিদানও তত মহান হবে। আল্লাহ তা'আলা যখন কোনো জাতিকে ভালোবাসেন তখন তাদেরকে (বিপদে ফেলে) পরীক্ষা করেন। যে লোক তাতে (বিপদে) সন্তুষ্ট থাকে, তার জন্য রয়েছে (আল্লাহ্ তা'আলার) সন্তুষ্টি। আর যে লোক তাতে অসন্তুষ্ট হয় তার জন্য রয়েছে (আল্লাহ তা'আলার) অসন্তুষ্টি।”

[সহীহ] [এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে আমাদের জানাচ্ছেন যে, মুমিন ব্যক্তি কখনো মুসিবতের সম্মুখীন হয় তার নিজের ব্যাপারে, তার সম্পদের ব্যাপারে বা অন্য কোনোভাবে। আর আল্লাহ তা‘আলা তাকে ঐ বিপদের বিনিময়ে সাওয়াব দান করেন যদি সে ধৈর্যধারণ করে। বিপদাপদ ও তার ভয়াবহতা যত বড় হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার সাওয়াব তত বেশি হবে। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেন যে, অবশ্যই মুনিনের জন্য মুসিবত হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার ভালোবাসার নিদর্শন। নিঃসন্দেহে আল্লাহর সিদ্ধান্ত ও ক্ষমতা উভয় বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু যে ধৈর্য ধারণ করবে এবং সন্তুষ্ট থাকবে আল্লাহ তা‘আলা অচিরেই তাকে এর প্রতিদান দিবেন। আর প্রতিদান দাতা হিসেবে তিনিই যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর ফায়সালা ও কুদরতের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট থাকবে আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন। আর শাস্তিদাতা হিসেবে তিনিই যথেষ্ট।

فوائد الحديث

বিপদাপদে যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো ওয়াজিব লঙ্ঘন না হয়, যেমন ধৈর্যহারা হওয়া অথবা হারাম কাজে লিপ্ত হওয়া যেমন পকেট ছিড়ে ফেলা অথবা গালে থাপ্পর দেওয়া, ততক্ষণ পর্যন্ত বিপদ-আপদ গুনাহগুলোর মোচনকারী।

আল্লাহর শান অনুযায়ী আল্লাহর জন্য মহব্বতের গুণটি সাব্যস্ত করা।

মু‘মিনের জন্য বিপদা-আপদ ঈমানের আলামত।

আল্লাহর শান অনুযায়ী আল্লাহর জন্য সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির গুণগুলো সাব্যস্ত করা।

আল্লাহর ক্বাযা ও কাদরের (ফয়সালা) প্রতি সন্তুষ্ট থাকা মুস্তাহাব।

আল্লাহর ক্বাযা ও কাদরের (ফয়সালা) প্রতি অসন্তুষ্ট থাকা হারাম।

মুসীবতের সময় ধৈর্য ধারণের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা।

মানুষ অনেক সময় কোন কিছুকে খারাপ মনে করে; অথচ তা তার জন্য উত্তম।

আল্লাহর জন্য তার কর্মসমূহে হিকমাত সাব্যস্ত করা।

কর্মের বিনিময় কর্মের ধরণ অনুযায়ী হয়ে থাকে।

التصنيفات

কাদ্বা ও কদরের ওপর ঈমান