কাদ্বা ও কদরের ওপর ঈমান

কাদ্বা ও কদরের ওপর ঈমান

3- একদিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে (আরোহী) ছিলাম। তিনি বললেন: “@ওহে বালক, আমি তোমাকে কিছু কালেমা শিখিয়ে দিচ্ছি। আল্লাহর (বিধানসমূহের) হিফাযত করবে। তিনি তোমার হিফাযত করবেন; আল্লাহর হিফাযত করবে, তাঁকে তোমার সামনে পাবে। যখন কিছু চাইবে তখন আল্লাহর কাছেই চাইবে, যখন সাহায্য চাইবে তখন আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইবে*। জেনে রাখ, সমস্ত উম্মতও যদি তোমার উপকার করতে একত্রিত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ যা তোমার তকদীরে লিখে রেখেছেন তা ছাড়া কোন উপকার করতে পারবে না। আর সব উম্মত যদি তোমার কোন ক্ষতি করতে একত্রিত হয়ে যায়, তবে তোমার তাকদীরে আল্লাহ তা‘আলা যা লিখে রেখছেন তা ছাড়া তোমার কোন ক্ষতি তারা করতে পারবে না। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, আর লিখিত কাগজসমূহও শুকিয়ে গেছে।”

7- “শক্তিশালী মুমিন দুর্বল মুমিন অপেক্ষা আল্লাহর কাছে অধিকতর উত্তম ও পছন্দনীয়। তবে তাদের প্রত্যেকের মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে।* সুতরাং যা তোমাকে উপকৃত করবে, তার প্রতি তুমি আগ্রহী হও। এবং আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা কর। তুমি কখনো অক্ষম হয়ো না। যদি তোমার কাছে কোন বিপদ আপতিত হয়। তাহলে এ কথা বলবে না: যদি আমি এমন এমন করতাম, তাহলে এমনটি হত না। বরং এ কথা বলবে:قَدَرُ اللهِ وَمَا شَاءَ فَعَلَ، ‘আল্লাহ তা’আলা যা নির্দিষ্ট করেছেন এবং যা চেয়েছেন তাই করেছেন।” কেননা لَوْ (যদি) বলা শয়তানের কাজকে খুলে দেয়।”

9- আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক জানাযায় বাকীউল গারকাদ (কবর স্থানে) ছিলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট এসে বসলেন এবং আমরাও তাঁর আশপাশে বসে গেলাম। তাঁর সাথে একটি ছড়ি ছিল, তিনি মাথা নীচু করে তা দিয়ে (চিন্তাগ্রস্তের মত) মাটিতে আঁক কাটতে লাগলেন। তারপর তিনি বললেন, “তোমাদের প্রত্যেকের জাহান্নামে ও জান্নাতে ঠিকানা লিখে দেওয়া হয়েছে।” সাহাবীরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! তাহলে আমরা কি আমাদের (ভাগ্য) লিপির উপর ভরসা করব না?’ তিনি বললেন, “(না, বরং) তোমরা কর্ম করতে থাক। কেননা, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য সে কাজ সহজ হয়, যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।” এবং পুরো হাদীস উল্লেখ করেন। মুত্তাফাকুন আলাইহি

17- আদম ও মূসা আলাইহিমাস সালাম বিতর্ক করেন। মূসা আলাইহিস সালাম আদম আলাইহিস সালামকে বললেন, হে আদম! আপনি আমাদের পিতা। আপনি আমাদের হতাশ করেছেন এবং আপনার ভুলের মাশুলস্বরূপ আমাদেরকে জান্নাত থেকে বহিস্কার করেছেন। আদম আলাইহিস সালাম তাকে বলেন, হে মূসা! আল্লাহ তোমাকে তাঁর প্রত্যক্ষ কালামের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি স্বহস্তে তোমাকে তাওরাত কিতাব লিখে দিয়েছেন। তুমি কি আমাকে এমন একটি ব্যাপারে দোষারোপ করছো, যা আল্লাহ তা‘আলা আমাকে সৃষ্টি করার চল্লিশ বছর পূর্বে আমার জন্য নির্ধারিত করেছেন? অতএব, আদম আলাইহিস সালাম বিতর্কে মূসা আলাইহিস সালামের ওপর বিজয়ী হলেন।