রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিছানা ছিল চামড়ার তৈরি এবং তার ভেতরে ছিল খেজুরের ছাল

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিছানা ছিল চামড়ার তৈরি এবং তার ভেতরে ছিল খেজুরের ছাল

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিছানা ছিল চামড়ার তৈরি এবং তার ভেতরে ছিল খেজুরের ছাল। আর মুসলিমের বর্ণনা হল, যে বালিশের উপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দিতেন সেটি ছিল চর্মের। এর অভ্যন্তরে খেজুর গাছের ছাল ছিল।

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা জানিয়েছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেই বিছানায় শুতেন, তা চামড়ার তৈরি ছিল এবং তাতে খেজুরের আঁশ ভর্তি ছিল। তেমনি তাঁর বালিশ, যার উপর তিনি সপে থাকতেন।

فوائد الحديث

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে দুনিয়ার বিলাসিতা ও উপভোগ থেকে বিরত ছিলেন তার বর্ণনা, যদিও আল্লাহ তাআলা তাকে এর সামর্থ দিয়েছেন, তিনি চাইলে এসব উপভোগ করতে পারতেন।

বিছানা এবং বালিশ ব্যবহার করা, সেগুলোর উপর শোয়া এবং সেগুলির সাহায্য নেওয়া জায়েয।

মুসলিমের উচিত তার জীবনযাপন ও অবস্থাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের সাথে তুলনা করা, কারণ তিনি হলেন উত্তম আদর্শ এবং যে ব্যক্তি তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, সে পৃথিবী এবং পরকালে সফল ও সাফল্যমণ্ডিত হবে।

আখেরাতের জন্য প্রস্তুতির আগ্রহ থাকা উচিত এবং একজন মুমিনের জন্য পৃথিবী থেকে শুধু তাই গ্রহণ করা উচিত যা আল্লাহর আনুগত্যে সহায়ক, যাতে সে দুনিয়ার অধিকতা এবং মাল-মত্তের প্রতি বিভ্রান্ত না হয়। আল্লাহ একদল মানুষ সম্পর্কে বলেছেন: {أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ} [التكاثر:1- 2]. “প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে ভুলিয়ে রেখেছে। যতক্ষণ না তোমরা কবরের সাক্ষাত করবে”। [তাকাসুর: ১-২]।

التصنيفات

দুনিয়ার প্রতি মোহের নিন্দা, নববী আদর্শ