إعدادات العرض
1- ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত কাজে (যেমন) ওযূ করা, মাথা আঁচড়ানো ও জুতা পরা (প্রভৃতি ভাল) কাজে ডান দিক থেকে শুরু করা পছন্দ করতেন।
2- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে দু’ রাকআত যোহরের (ফরযের) আগে, দু’ রাকআত তার পরে এবং দু’ রাকআত জুমআর পরে, দু’ রাকআত মাগরেব বাদ, আর দু’ রাকআত নামায এশার (ফরযের) পরে পড়েছি।
3- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে (সালাতের জন্য) উঠতেন তখন মিসওয়াক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতেন।
4- লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আরবদের জন্য সর্বনাশ, অনিষ্ট ঘনিয়ে এসেছে। আজকে ইয়া’জূজ-মা’জূজের দেওয়াল এতটা খুলে দেওয়া হয়েছে।” এবং তিনি (তার পরিমাণ দেখানোর জন্য) নিজ বৃদ্ধ ও তর্জনী দুই আঙ্গুল দ্বারা (গোলাকার) বৃত্ত বানালেন। আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মাঝে সৎলোক মওজুদ থাকা সত্বেও কি আমরা ধ্বংসপ্রাপ্ত হব?’ তিনি বললেন, “হ্যাঁ, যখন অশ্লীলতা বেশী হবে।”
5- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সফরে এশার সলাতের প্রথম দু‘ রাক‘আতের এক রাক‘আতে সূরাহ্ তীন ওযযাইতুন পাঠ করেন। আমি তার ছেয়ে অধিক সুন্দর আওয়াজ ও তিলাওয়াতকাকী আর কাউকে শুনিনি।
6- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাতের সময় উভয় বাহু পৃথক রাখতেন। এমনকি তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখা যেতো।
7- নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ার হয়ে ও পায়ে হেঁটে (মসজিদে) কুবার যিয়ারত করতেন। অতঃপর তাতে দুই রাকআত সালাত আদায় করতেন।
8- নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের প্রথমভাগে ঘুমাতেন এবং রাতের শেষভাগে উঠে (তাহাজ্জুদের) সালাত আদায় করতেন।
9- দৈহিক ব্যথা বা অন্য কোন অসুবিধার কারণে যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাতের সালাত ছুটে যেত, তাহলে তিনি দিনের বেলায় ১২ রাকাত সালাত পড়তেন।
10- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু‘আর দিন ফজরের সালাতে আলিফ লাম মীম তানযীলু সাজদাহ এবং সূরা আদ-দাহার পড়তেন।
11- ঐ সম্প্রদায়ের কি হলো যে, তারা এ ধরনের কথা বলেছে, কিন্তু আমি সালাত আদায় করি এবং নিদ্রাও যাই, সাওম পালন করি এবং ইফতারও করি এবং নারীদের বিয়েও করি। সুতরাং যে আমার সুন্নাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।
12- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ডান হাত তাঁর ওযূ ও আহারের জন্য ব্যবহার হত এবং বাম হাত তাঁর পেশাব-পায়খানা ও কষ্টদায়ক বস্তু স্পর্শ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হত।
13- আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানায় যেতেন তখন আমি ও আমার একটি ছেলে পানির পাত্র এবং ‘আনাযা’ (এমন লাঠি যার মাথায় লোহা লাগানো থাকে) নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা শৌচকার্য করতেন।
14- আমি নিজেকে স্বপ্নে দাঁতন করতে দেখলাম। অতঃপর দু’জন লোক এল, একজন অপরজনের চেয়ে বড় ছিল। আমি ছোটজনকে দাঁতনটি দিলাম, তারপর আমাকে বলা হল, ‘বড়জনকে দাও।’ সুতরাং আমি তাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ লোকটিকে (দাঁতন) দিলাম।
15- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে যেভাবে সলাত আদায় করতেন তোমাদের নিয়ে সেভাবে সালাত আদায় করতে আমি ত্রুটি করবো না।
16- আমি একরাত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সালাত আদায় করলাম। তিনি সূরা আল-বাকারাহ শুরু করলেন।
17- কোন কোন মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনভাবে রোযা ত্যাগ করতেন যে, মনে হত তিনি উক্ত মাসে আর রোযা রাখবেন না। অনুরূপভাবে কোন মাসে এমনভাবে রোযা রাখতেন যে, মনে হত তিনি ঐ মাসে আর রোযা ত্যাগই করবেন না। (তাঁর অবস্থা এরূপ ছিল যে,) যদি তুমি না চাও যে, তাকে সালাত রত অবস্থায় দেখবে, তবে অবশ্যই তাকে সেরূপ দেখতে পাবে, আর যদি তুমি না চাও যে, তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখবে, তবে অবশ্যই তাকে সেরূপ দেখতে পাবে।
18- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওমে বেসাল থেকে নিষেধ করলেন। লোকেরা বললো, আপনি যে সাওমে বেসাল পালন করেন! তিনি বললেন: আমি তোমাদের মতো নই, আমাকে পানাহার করানো হয়।
19- একটি খেজুর গাছের গুঁড়ি (খুঁটি) ছিল। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুৎবা দানকালে দাঁড়িয়ে তাতে হেলান দিতেন। তারপর যখন (কাঠের) মিম্বর (তৈরি করে) রাখা হলো, তখন আমরা দশ মাসের গর্ভবতী উষ্ট্রীর শব্দের ন্যায় গুঁড়িটির (কান্নার) শব্দ শুনতে পেলাম। পরিশেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মিম্বর হতে) নেমে নিজ হাত তার উপর রাখলে সে শান্ত হলো।
20- আমি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সালাত আদায় করতাম। তাঁর সালাতও মধ্যম ধরনের হতো এবং তাঁর খুৎবাও মধ্যম ধরনের হতো।
21- আমি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে এক রাতে সালাত পড়েছি। তিনি এত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে রইলেন যে, শেষ পর্যন্ত আমি একটা মন্দ কাজের ইচ্ছা করেছিলাম। ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘সে ইচ্ছাটা কি করেছিলেন?’ তিনি বললেন, ‘আমার ইচ্ছা হয়েছিল যে, তাঁকে ছেড়ে দিয়ে বসে পড়ব।