“তোমাদের কেউ যেন এক কাপড়ে সালাত আদায় না করে যে অবস্থায় তার গর্দানের ওপর কোন কিছুই থাকে না”।

“তোমাদের কেউ যেন এক কাপড়ে সালাত আদায় না করে যে অবস্থায় তার গর্দানের ওপর কোন কিছুই থাকে না”।

আবূ বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কেউ যেন এক কাপড়ে সালাত আদায় না করে যে অবস্থায় তার গর্দানের ওপর কোন কিছুই থাকে না”।

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক পোশাকে সালাত আদায়কারীকে তার দুই কাঁধ, অর্থাৎ কাঁধ ও ঘাড়ের মাঝখানে যা আছে তা খোলা রাখতে নিষেধ করেছেন এমন যেন না হয় যে তার উপর কিছুই থাকবে না। এর কারণ হল যদিও কাঁধগুলি ‘আওরাহ (শরীরের যেসব অংশ আবশ্যিকভাবে আবৃত করতে হবে) নয়, তবুও সেগুলিকে ঢেকে রাখা ‘আওরা’কে আরও ভালোভাবে আড়াল করার নিশ্চয়তা দেয়, পাশাপাশি সালাতে তাঁর সামনে দাঁড়ানোর সময় এটি সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা ও মহিমা প্রদর্শনের কাছাকাছি।

فوائد الحديث

এক পোশাকে সালাত পড়া জায়েয যদি তা যা ঢেকে রাখা আবশ্যক তা ঢেকে রাখে।

দুই কাপড়ে সালাত পড়া বৈধ, একটি শরীরের উপরের অংশ অপরটি শরীরের নিচের অংশ ঢেকে রাখবে।

মুসল্লির সুন্দর সুরুতে হওয়া মুস্তাহাব।

সম্ভব হলে সালাতের সময় দুই কাঁধ বা তার যেকোন একটি ঢেকে রাখা ওয়াজিব এবং বলা হয়েছে যে এটি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ নয়।

সাহাবীদের হাতে যে সম্পদ ছিল তার পরিমাণ খুব কম ছিল, এমন কী তাদের কেউ দু’টি কাপড়ের মালিক ছিলেন না।

আন-নববী হাদীসের অর্থ প্রসঙ্গে বলেন, এর পেছনে যুক্তি হল, যদি সে তার কাঁধে কিছু না রেখে এটিকে শরীরের নিম্নাংশের একটি পোশাক হিসেবে ব্যবহার করে তাহলে তার ‘আওরাহ’ (গোপনাংশ) প্রকাশ হতে পারে; তবে যদি সে তার কাঁধে তার কিছু অংশ রাখে এটি হবে না। অধিকন্তু এক কাপড় হলে এটিকে তার এক হাত বা উভয় হাত দিয়ে ধরার প্রয়োজন হতে পারে আর এভাবে সে এটি নিয়ে ব্যস্ত হবে এবং তার বুকের নিচে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা এবং সুন্নাত অনুযায়ী উভয় হাত উঠানো ইত্যাদি সুন্নাত কাজগুলো ছুটে যাবে। কারণ এতে শরীরের উপরিভাগ এবং সাজসজ্জার স্থান ঢেকে রাখা থেকে বিরত থাকা হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন:{ خُذُوا ‌زِينَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ } {প্রত্যেক সালাতের জন্য সুন্দর পোশাক পরিধান করুন।} [সূরা আল আরাফ: 31]

التصنيفات

সালাতের শর্তসমূহ