إعدادات العرض
1- তোমরা কবরের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করো না এবং তার ওপর বসিও না।
2- এক রাতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ইশার সালাত আদায় করতে দেরী করছিলেন, তখন ‘উমার ইব্নুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু উঠে গিয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললনে, ‘আস-সালাত’ হে আল্লাহর রাসূল! বাচ্চা ও নারীরা ঘুমিয়ে পড়ার উপক্রম। তারপর তিনি বের হলেন তার মাথা থেকে পানির ফোঁটা ঝরছিল। আর তিনি বলছিলেন “যদি আমার উম্মাতরে জন্য কষ্টকর হবে বলে মনে না করতাম, তাহলে তাদেরকে এ সালাত এ সময়ে আদায় করার নির্দেশ দিতাম।
3- পাপ্ত বয়স্কা নারীর সালাত আল্লাহ তা‘আলা উড়না ছাড়া কবুল করেন না।
4- দুই কাঁদ খালি রেখে তোমাদের কেউ যেন এক কাপড়ে সালাত আদায় না করে।
5- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের সওয়ারীর উপর (নফল) সালাত আদায় করতেন— সওয়ারী তাঁকে নিয়ে যে দিকেই মুখ করত না কেন। কিন্তু যখন ফরয সালাত আদায়ের ইচ্ছা করতেন, তখন নেমে পড়তেন এবং ক্বিবলামুখী হতেন।
6- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফর করতেন তখন নফল সালাত আদায় করার ইচ্ছা করলে তিনি তার উষ্টিকে কিবলামুখ করতেন এবং তাকবীর বলতেন। তারপর সালাত আদায় করতেন যে দিকে তার বাহন তাকে ফিরাতো।
7- কবরস্থান এবং গোসল খানা ছাড়া সমগ্র যমীন মসজিদ।
8- একদা লোকেরা কুবা নামক স্থানে ফজরের সালাত আদায় করছিলেন। এমন সময় তাদের নিকট এক ব্যক্তি এসে বললেন যে, এ রাতে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ হয়েছে। আর তাঁকে কা‘বামুখী হবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই তোমারা কা‘বার দিকে মুখ কর।
9- নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহ-এ প্রবেশ করলেন, আরো প্রবেশ করলেন উসামা ইব্নু যায়দ, বেলাল ও ‘উসমান ইব্নু ত্বলহা।
10- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত প্রচণ্ড গরমের সময় আদায় করতেন। আর ‘আসরের সালাত সূর্য উজ্জ্বল থাকতে আদায় করতেন, মাগরিবের সালাত সূর্য অস্ত যেতেই আদায় করতেন।
11- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফজরের সালাত আদায় করতেন। তখন মুমিন মহিলারা গায়ে চাদর জড়িয়ে তার সাথে শরীক হতেন। তারপর তারা নিজ গৃহে ফিরে যেতেন; কিন্তু অন্ধকারের কারণে তাদের কাউকে চেনা যেতো না।
12- আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সামনে ঘুমাতাম।আমার পদদ্বয় তাঁর ক্বিবলার দিকে থাকতো। তিনি যখন সাজদায় যেতেন তখন আমাকে খোঁচা দিতেন। তাতে আমি পা দু’টি গুটিয়ে নিতাম। আর তিনি দাঁড়িয়ে গেলে আমি তা প্রসারিত করতাম। সে সময় ঘরগুলোতে বাতি ছিল না।
13- সূর্য (পশ্চিমাকাশে) ঢলে যাওয়ার পর যোহরের ওয়াক্ত হয় এবং মানুষের ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া থেকে আসরের ওয়াক্ত শুরু না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকে। আসরের ওয়াক্ত সূর্য হলুদ না হওয়া পর্যন্ত থাকে। মাগরিবের ওয়াক্ত (পশ্চিমাকাশে) শাফাক তথা লালিমা দূরীভুত না হওয়া পর্যন্ত থাকে। আর ইশার ওয়াক্ত রয়েছে মধ্য রাত্রি পর্যন্ত। এবং ফজরের ওয়াক্ত রয়েছে ঊষার উদয়কাল হতে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত।
14- আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে মাগরীবের সালাত আদায় করতাম। তখন আমাদের লোকজন এমন অবস্থায় ফিরে যেত যে, তারা তাদের তীরের নিশানা দেখতে পেত।
15- যে ব্যক্তি সূর্য উদয়ের পূর্বে ফজরের সালাতের এক রাকা‘আত সালাত পেল, সে ফজর পেল। আর যে ব্যক্তি সূর্য ডোবার পূর্বে আসরের সালাতের এক রাকা‘আত পেল সে আসর পেল।
16- ফজর দুই প্রকার। এক ফজর হলো বাঘের লেজের মতো তাতে সালাত পড়া যাবে না এবং খাদ্য হারাম হবে না। আর যে ফজর আকাশে লম্বাভাবে দেখা তাতে সালাত বৈধ এবং খাদ্য নিষিদ্ধ।
17- অন্ধকার রাতে একটি সফরে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম। আমরা জানলাম না যে কিবলা কোন দিকে? ফলে প্রত্যেকে নিজ নিজ ধারণা অনুযায়ী সালাত আদায় করল। তারপর যখন সকাল হলো বিষয়টি আমরা রাসূলুল্লাহর নিকট উল্লেখ করলাম। তখন আয়াত নাযিল হলো, “তোমরা যেদিকে ফিরো সেদিকেই আল্লাহর চেহারা”। [সূরা বাকারাহ, আয়াত: ১১৫]
18- পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝখানে কিবলা অবস্থিত।
19- তোমাদের কেউ যখন সজিদে আসে তখন সে যেন তার জুতা দু’টি দেখে নেয়। সে যদি তার জুতাদ্বয়ে কোনো নাপাকী বা ময়লা দেখে তা যেন মুছে নেয় এবং তা পরিহিত অবস্থাতেই সালাত আদায় করে।
20- বিকেলের খাবার পরিবেশন করা হলে মাগরিবের সলাতের পূর্বে তা খেয়ে নিবে। খাওয়া রেখে সলাতে তাড়াহুড়া করবে না।
21- হে আল্লাহর রাসূল! আমি এখনও ‘আসরের সালাত আদায় করতে পারিনি, এমন কি সূর্য অস্ত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন আল্লাহর শপথ! আমিও তা আদায় করিনি। অতঃপর আমরা উঠে বুতহানের দিকে গেলাম। সেখানে তিনি সালাতের জন্য উযূ করলেন এবং আমরাও উযূ করলাম; অতঃপর সূর্য ডুবে গেলে ‘আসরের সালাত আদায় করেন, তারপর মাগরিবের সালাত আদায় করেন।
22- তোমরা ফজরের সালাত সকাল করে আদায় কর। কারণ, তা তোমাদের সাওয়াবের দিক বিবেচনায় অধিক। অথবা সাওয়াবের জন্য মহান।
23- সা‘ঈদ ইব্নু হারিস হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ-কে একটি কাপড়ে সালাত আদায় করা সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে কোন এক সফরে বের হয়েছিলাম। এক রাতে আমি কোন দরকারে তাঁর নিকট গেলাম। দেখলাম, তিনি সালাতে রত আছেন। তখন আমার শরীরে মাত্র একখানা কাপড় ছিল। আমি কাপড় দিয়ে শরীর জড়িয়ে নিলাম আর তাঁর পার্শ্বে সালাতে দাঁড়ালাম। তিনি সালাত শেষ করে জিজ্ঞেস করলেন, জাবির! রাতের বেলা আসার কারণ কী? তখন আমি তাঁকে আমার প্রয়োজনের কথা জানালাম। আমার কাজ শেষ হলে তিনি বললেন, এ কিরূপ জড়ানো অবস্থায় তোমাকে দেখলাম? আমি বললাম, কাপড় একটিই ছিল (তাই এভাবে করেছি)। তিনি বললেন, কাপড় যদি বড় হয়, তাহলে শরীরে জড়িয়ে পরবে। আর যদি ছোট হয় তাহলে লুঙ্গি হিসেবে ব্যবহার করবে। সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় বর্ণিত: যদি বড় হয় তবে তার দুই কিনারা দুই দিকে ছাড়বে। আর যদি ছোট হয় তাহলে সেটি তোমার কোমরে বেঁধে নিবে।”
24- তোমাদের কেউ যেন এক কাপড়ে সালাত আদায় না করে যে অবস্থায় তার গর্দানের ওপর কোন কিছুই থাকে না।