إعدادات العرض
بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ: شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ،…
بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ: شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ» “ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি।
ইবন `উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: «بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ: شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ» “ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। -এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মাবূদ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। সালাত কায়েম করা, যাকাত দেয়া, হজ করা এবং রমযানের সাওম পালন করা।”
الترجمة
العربية Kurdî English Kiswahili Español اردو Português Bahasa Indonesia فارسی தமிழ் हिन्दी සිංහල Tiếng Việt മലയാളം Русский မြန်မာ ไทย پښتو অসমীয়া Shqip Svenska Čeština ગુજરાતી አማርኛ Yorùbá ئۇيغۇرچە Türkçe Hausa دری Кыргызча or नेपाली Kinyarwanda Malagasy Română తెలుగు Bosanski Lietuvių Oromoo Nederlands Soomaali Српски Deutsch Українська ಕನ್ನಡ Wolofالشرح
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামকে সুদৃঢ় পাঁচটি ভিত্তির উপর তুলনা করেছেন, যা উক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। ইসলামের অন্যান্য বিধানগুলো যেন উক্ত ভিত্তির পরিপূরক ও পূর্ণতাদানকারী। এসব রুকনের প্রথমটি হলো: শাহাদাতাইন: আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো ইলাহ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল -এ কথার সাক্ষ্য দান করা। এ দুটি কালিমার সাক্ষ্য দেওয়া মূলত একটি রুকন। একাংশ আরেক অংশ থেকে আলাদা হয় না। আল্লাহর একত্ববাদের স্বীকৃতি ও তিনি একমাত্র ইবাদতের উপযুক্ত এ স্বীকৃতি সহকারে বান্দাহ এ কালিমা তার মুখে উচ্চারণ করবে, এর দাবি অনুযায়ী আমল করবে এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতের উপর ঈমান আনায়ন করবে। দ্বিতীয় রুকন: সালাত কায়েম করা। আর তা হলো দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত এর শর্তাবলি ও রুকন ও ওয়াজিবসমূহ সহকারে আদায় করা। সেগুলো হলো: ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা। তৃতীয় রুকন: ফরয যাকাত দেয়া। এটি মূলত একটি ধন-সম্পদের উপর ফরযকৃত ইবাদত, যা নিসাব পরিমাণ কারো কাছে থাকলে শরী‘আহ তাকে যাকাতের হকদারদেরকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ প্রদান করা ফরয করেছে। চতুর্থ রুকন: হজ করা। তা হলো আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে হজের কার্যাবলি পালনের জন্যে মক্কায় গমন করা। পঞ্চম রুকন: রমযানের সাওম পালন করা। আর তা হলো ইবাদতের নিয়তে রমযান মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাদ্য, পানীয় ও অন্যান্য সাওম ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকা।فوائد الحديث
দু’টি কালিমার সাক্ষ্য একত্রে দেওয়া আবশ্যক। সুতরাং একটি বাদে অপরটি বিশুদ্ধ হবে না। এ কারণে দু’টি কালিমার সাক্ষ্যকে একটি রুকন হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
শাহাদাতাইন তথা দু’টি কালিমার সাক্ষ্য দ্বীনের মূল। সুতরাং কারো কোন কথা ও কাজ এ দু’টি কালিমার সাক্ষ্য দেওয়া ব্যতীত গ্রহণ করা হবে না।