إعدادات العرض
“মুওয়াযযিন যখন ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’ বলে, তোমাদের কোন ব্যক্তি আন্তরিকতার সাথে তখন তার জবাবে বলেঃ…
“মুওয়াযযিন যখন ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’ বলে, তোমাদের কোন ব্যক্তি আন্তরিকতার সাথে তখন তার জবাবে বলেঃ ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার
‘উমার ইবনুল খত্তাব রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মুওয়াযযিন যখন ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’ বলে, তোমাদের কোন ব্যক্তি আন্তরিকতার সাথে তখন তার জবাবে বলেঃ ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’। যখন মুওয়াযযিন বলে ‘আশহাদু আল লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ এর জবাবে সেও বলেঃ ‘আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্লাহ’ এর জবাবে সে বলেঃ ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্লাহ’। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ ‘হাইয়্যা আলাস সলাহ’ এর জবাবে সে বলেঃ ‘লা-হাওলা ওয়ালা- কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ ‘হাইয়্যা ’আলাল ফালাহ’ এর জবাবে সে বলেঃ ‘লা- হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লাহ’। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’ এর জবাবে সে বলেঃ ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ এর জবাবে সে বলেঃ ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’। আযানের এ জবাব দেয়ার কারণে সে জান্নাতে যাবে”।
الترجمة
العربية English မြန်မာ Svenska Čeština ગુજરાતી አማርኛ Yorùbá Nederlands اردو Bahasa Indonesia ئۇيغۇرچە Türkçe සිංහල हिन्दी Tiếng Việt Hausa తెలుగు Kiswahili ไทย پښتو অসমীয়া دری Кыргызча Lietuvių Kinyarwanda नेपाली മലയാളം Italiano or Bosanski ಕನ್ನಡ Kurdî Oromoo Română Shqip Soomaali Српски Wolof Українська Tagalog தமிழ் Moore Malagasy Azərbaycanالشرح
আযান হলো মানুষদেরকে সালাতের ওয়াক্ত প্রবেশ করার ঘোষণা প্রদান করা; আর আযানের বাক্যসমিষ্ট হলো ঈমানের আকিদাকে অন্তর্ভুক্তকারী বাক্যসমষ্টি। এই হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আযান শ্রবণ করার সময় করণীয় সম্বন্ধে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আর তা হলো মুওয়াযযিন যা বলবেন শ্রবণকারী তাই বলবেন। কাজেই মুওয়াযযিন যখন বলবেন ‘আল্লাহু আকবার’ শ্রবণকারী তখন বলবেন, ‘আল্লাহু আকবার’, এভাবে বাকিটা। তবে মুওয়াযযিনের হাইয়্যা ‘আলাস সালাহ ও হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ বলার সময় ব্যতিরেকে, তখন শ্রবণকারী ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবেন”। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি তাঁর অন্তর থেকে ইখলাসের সাথে উক্ত বাক্যগুলো মুওয়াযযিনের সাথে বলবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আযানের শব্দাবলীর অর্থ: ‘আল্লাহু আকবার’: অর্থাৎ আল্লাহু সুবহানাহু প্রত্যেক জিনিস থেকে বড়, মহান ও মহিমান্বিত। ‘আশ-হাদু আল-লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’: অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো মাবূদ নেই। ‘আশ-হাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ’: অর্থাৎ আমি আমার অন্তর ও জিহ্বা দ্বারা স্বীকার করছি ও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। সম্মানিত আল্লাহ তাঁকে প্রেরণ করেছেন এবং তাঁর আনুগত্য করা ওয়াজিব। ‘হাইয়্যা ‘আলাস সালাহ’: অর্থাৎ তোমরা সালাতে আসো। আর শ্রোতার কথা: ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ এর অর্থ হলো: আল্লাহ তা‘আলার তাওফিক ছাড়া আনুগত্য করার বাধা থেকে মুক্ত হওয়া এবং আনুগত্য করা ও কোনো কিছু করার কোনো ক্ষমতা নেই। ‘হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ’: অর্থাৎ সফলতার উপকরণের দিকে আসো; আর তা হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া ও জান্নাত লাভ করে ধন্য হওয়া।فوائد الحديث
মুওয়াযযিন যেরূপ বাক্য বলেন, সেরূপ বাক্য বলে তাঁর উত্তর দেওয়ার ফজিলত, তবে দুই ‘হাই‘আলা..’ এর জায়গায় ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবে।