“যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়,…

“যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না

আবূ হুরায়রা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে”।

[সহীহ] [এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে তার মুসলিম ভাইয়ের সম্মান, অর্থ বা রক্তে অন্যায় করেছে এমন প্রত্যেককে জীবিত থাকা অবস্থায় যাকে জুলুম করেছে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন, কেয়ামতের দিন আসার আগে, যখন যার প্রতি অন্যায় করেছে নিজের মুক্তিপণ হিসেবে তাকে এক দিনার সোনা বা এক দিরহাম রূপা দেওয়া কোন কাজে আসবে না। কারণ সেদিন প্রতিশোধ নেওয়া হবে ভালো ও মন্দ আমলের মাধ্যমে, যেমন নির্যাতিত ব্যক্তি অত্যাচারীর সৎকর্ম থেকে তার উপর যতটুকু অন্যায় করা হয়েছে তার পরিমাণ নেকি গ্রহণ করবে; যদি অত্যাচারীর কোন ভালো কাজ না থাকে, তাহলে নির্যাতিত ব্যক্তির মন্দ কাজগুলো তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় তার উপর যতটুকু অবিচার করা হয়েছে তার অনুপাতে।

فوائد الحديث

অন্যায় ও সীমালঙ্ঘন এড়াতে সতর্ক থাকা।

মানুষের হক যার উপর রয়েছে তাকে তা থেকে দ্রুত মুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো।

মানুষের প্রতি অন্যায় ও তাদের কষ্ট দেওয়া সৎকর্ম বিনষ্ট ও তার ফলাফল ধ্বংসের কারণ।

মানুষের অধিকার আল্লাহ ক্ষমা করেন না যতক্ষণ না তা তাদের মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

দিনার ও দিরহাম হলো দুনিয়ার কল্যাণ লাভের মাধ্যম, কিন্তু কিয়ামতের দিন হলো ভালো ও খারাপ আমল।

সম্মানের বিষয়ে কিছু আলেম বলেছেন: যদি যার উপর অত্যাচার করা হয়েছে সে না জানে, তাহলে তাকে জানানোর কোন প্রয়োজন নেই, যেমন যদি সে কোন সমাবেশে তাকে অপমান করে থাকে এবং অনুতপ্ত হয়, তাহলে তাকে জানানোর কোন প্রয়োজন নেই, তবে তার উচিত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, তার জন্য দোআ করা এবং যেসব সমাবেশে সে তাকে অপমান করেছে, সেখানে তার সম্পর্কে ভালো কথা বলবে এবং এইভাবে সে তার পাপ থেকে মুক্তি পাবে।

التصنيفات

আখেরাতের জীবন