আখেরাতের জীবন

আখেরাতের জীবন

2- একবার আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি রাতে (পূর্ণিমার) চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন: “@তোমরা শীঘ্রই তোমাদের রব্ব কে দেখতে পাবে, যেমনি তোমরা এ চাঁদটিকে দেখতে পাচ্ছো। তাঁকে দেখতে তোমাদের কোনো অসুবিধা হবে না(ভিড়ে ঠেলাঠেলিও করবেনা)।* অতএব, তোমরা যদি সক্ষম হও, সূর্য উঠার আগের সালাত ও সূর্য ডুবার পূর্বের সালাত (যথাযথভাবে) আদায় করতে পরাজিত হবে না, তাহলে তাই করো।” অতপর তিনি তিলাওয়াত করলেন: {وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ الْغُرُوبِ}» “কাজেই তোমার রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ করো সূর্য উদয়ের আগে ও অস্ত যাওয়ার আগে।”

17- “সর্বশেষে যে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে বের হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে, তার সম্পর্কে অবশ্যই আমার জানা আছে। এক ব্যক্তি হামাগুড়ি দিয়ে (বা বুকে ভর দিয়ে) চলে জাহান্নাম থেকে বের হবে। তখন আল্লাহ আয্যা অজাল্লাহ বলবেন, ‘যাও জান্নাতে প্রবেশ কর।’ সুতরাং সে জান্নাতের কাছে এলে তার ধারণা হবে যে, জান্নাত পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে সে ফিরে এসে বলবে, ‘হে রব! জান্নাত তো পরিপূর্ণ দেখলাম।’ আল্লাহ আয্যা অজাল্লাহ বলবেন, ‘যাও, জান্নাতে প্রবেশ কর।’ তখন সে জান্নাতের কাছে এলে তার ধারণা হবে যে, জান্নাত তো ভরে গেছে। তাই সে আবার ফিরে এসে বলবে, ‘হে রব! জান্নাত তো ভরতি দেখলাম।’

19- “নিশ্চয় আল্লাহ কোন মুমিনের ভালোকাজের ব্যাপারে জুলুম করেন না*; দুনিয়াতেও তিনি তার পুরস্কার দিয়ে থাকেন আবার আখিরাতেও তার প্রতিদান দিবেন। পক্ষান্তরে কাফির ব্যক্তিকে তার ভালোকাজ, যেগুলো সে আল্লাহর জন্য করেনি, সেগুলোর কারণে খেতে দেন এভাবে সে আখিরাতে উপনীত হবে আর তখন তার এমন কোন ভালোকাজ অবশিষ্ট থাকবে না, যার বিনিময়ে তাকে পুরস্কার দেয়া হবে।”