ওয়াবেসাহ ইবন মা‘বাদ আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক…

ওয়াবেসাহ ইবন মা‘বাদ আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক লোককে কাতারের বাহিরে একা সালাত আদায় করতে দেখে তাকে সালাত পুণরায় আদায় করার নির্দেশ দেন। সুনানে আবূ দাউদ।

ওয়াবেসাহ ইবন মা‘বাদ আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক লোককে কাতারের বাহিরে একা সালাত আদায় করতে দেখে তাকে সালাত পুণরায় আদায় করার নির্দেশ দেন।

[হাসান] [এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত থেকে ফেরার পর দেখেন এক লোক কাতারের বাহিরে একা সালাত আদায় করছে। তখন তিনি তাকে যে সালাত কাতারের বাহিরে একা আদায় করছে তা পূণরায় শুরু থেকে আদায় করার নির্দেশ দেন। এ কথা স্পষ্ট যে, কাতারের বাহিরে একা সালাত আদায় করা বিশুদ্ধ নয়। কারণ, তিনি সালাত পূণরায় আদায় করার নির্দেশ দেন। আর পূণরায় আদায় করার নির্দেশ কোন মুস্তাহাবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আবূ বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদিসে বর্ণিত বিষয় অর্থাৎ তিনি কাতারের বাহিরে রুকূ করেন তারপর কাতারে প্রবেশ করেন, এ হাদীসের আলোচ্য বিষয়ের সাথে বিরোধপূর্ণ নয়। কারণ, তিনিতো একা সালাত আদায় করেননি। কারণ, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রুকূ পেয়েছেন। তাকবীরে তাহরীম ও রুকুর কিছু অংশ একা পালন করার অর্থ এ নয় যে, সে একা সালাত আদায় করেছে। কিন্তু যে পূর্ণ এক রাকা‘আত বা তার চেয়ে বেশি সালাত কাতারের বাহিরে আদায় করল তার ক্ষেত্রে একা সালাত আদায়কারী বাস্তবায়িত হবে। চাই কাতার পূর্ণ হোক বা কাতার অপূর্ণ হোক। এর ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, যদি কোন ব্যক্তি কাতারে এমন ফাঁকা পায় যাতে দাড়ানো সম্ভব তার জন্য কাতার বাদ দিয়ে একা দাড়ানো বৈধ নয়। যদি এমন করে তবে তার সালাত শুদ্ধ হবে না। আর যদি কাতারে কোন ফাঁকা না পাওয়া যায়, তখন কাতারের পিছনে একা দাড়াবে। কোন ক্রমেই জামা‘আত ছাড়বে না।

التصنيفات

ইমাম ও মুক্তাদির বিধানাবলি