إعدادات العرض
1- যখন তোমাদের কেউ সালাতে উপস্থিত হয় আর ইমাম একটি অবস্থায় থাকে, তখন সে তাই করবে যেমন ইমাম করবে।
2- তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা করে নিবে, কেননা, কাতার সোজা করা সলাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।
3- তোমাদের কেউ যখন ইমামের আগে মাথা তোলে, তখন তার মনে কি ভয় হয় না যে, মহান আল্লাহ তার মাথা, গাধার মাথায় পরিণত ক’রে দেবেন অথবা তার আকৃতি গাধার আকৃতি ক’রে দেবেন?
4- তোমাদের কেউ যখন সালাতের ইমামতি করে, সে যেন সালাত সংক্ষেপ করে; কেননা, তাদের মধ্যে রয়েছে দুর্বল, রোগী ও কর্মজীবি লোকে। তোমরা যখন নিজেরা একাকী সালাত আদায় করো তখন যতো ইচ্ছা দীর্ঘ করো।
5- অনুসরণ করার জন্যেই ইমাম নির্ধারণ করা হয়েছে। অতএব, তোমরা আমলে তার সাথে অনৈক্য করো না। যখন সে তাকবীর বলে তোমরাও তখন তাকবীর বল এবং যখন সে রুকু করে তোমরাও তখন রুকু কর। আর যখন সে, ‘সামিআ‘ল্লাহুলিমান হামিদাহ’ বলে, তোমরা তখন ‘রাব্বানা লাকাল হামদ্’ বল, আর যখন সে সাজদাহ করে তোমরাও তখন সাজদাহ কর। আর যখন সে বসে সালাত পড়ে তোমরাও তখন সম্মিলিতভাবে বসে সালাত পড়।
6- পুরুষদের বেলায় তাসবীহ্ (সুবহানাল্লাহ্) বলা, তবে মহিলাদের বেলায় ‘তাসফীক’ (এক হাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের তালুতে মারা)।
7- ওয়াবেসাহ ইবন মা‘বাদ আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক লোককে কাতারের বাহিরে একা সালাত আদায় করতে দেখে তাকে সালাত পুণরায় আদায় করার নির্দেশ দেন। সুনানে আবূ দাউদ।
8- “তোমরা যখন সালাত আদায় করবে, তোমাদের কাতারগুলো ঠিক করে নিবে। অতঃপর তোমাদের কেউ তোমাদের ইমামতি করবে। সে যখন তাকবীর বলবে, তোমরাও তখন তাকবীর বলবে
9- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন যে, এক ব্যক্তি আলাদা দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি লোকদের সাথে সলাত আদায় করেন নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে অমুক! তোমাকে লোকদের সাথে সালাত আদায় করতে কিসে বিরত রাখলো? তিনি বললেন, আমার উপর গোসল ফরয হয়েছে। অথচ পানি নেই। তিনি বললেন, পবিত্র মাটি নাও (তায়াম্মুম কর), এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট।
10- তোমরা অবশ্যই তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করবে, নচেৎ তিনি তোমাদের চেহারা পরিবর্তন করে দিবেন।
11- আমি সাবালক হবার নিকটবর্তী বয়সে একদা একটি গাধীর উপর আরোহিত অবস্থায় এলাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন মিনায় সালাত আদায় করছিলেন তার সামনে কোন দেয়াল না রেখেই। তখন আমি কোন এক কাতারের সামনে দিয়ে অতিক্রম করলাম এবং গাধীটিকে বিচরণের জন্য ছেড়ে দিলাম। আমি কাতারের ভেতর ঢুকে পড়লাম কিন্তু এতে কেউ আমাকে নিষেধ করেননি।
12- উঠ, তোমাদের নিয়ে আমি সালাত আদায় করি।
13- আমি কখনো কোন ইমামের পিছনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে অধিক সংক্ষিপ্ত ও পরিপূর্ণ সালাত আদায় করিনি।
14- তুমি কেন সূরা আ‘লা, শামস এবং লাইল দ্বারা সালাত আদায় করো না। কারণ, তোমার পিছনে বুড়া, দূর্বল এবং জরুরত আছে এমন সব লোক সালাত আদায় করে।
15- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলার পর যতক্ষণ পর্যন্ত সাজদায় না যেতেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কেউ পিঠ বাঁকা করত না। তিনি সাজদায় যাওয়ার পর আমরা সাজদায় যেতাম।
16- আবুল আব্বাস সাহল ইবন সা’দ সায়েদী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট সংবাদ পৌঁছল যে, আমর ইবন আউফ গোত্রের মাঝে অনিষ্ট (ঝগড়া-বিবাদ) সংঘটিত হয়েছে। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথে কিছু লোককে নিয়ে তাদের মধ্যে আপোষ-মীমাংসা ক’রে দেওয়ার জন্য সেখানে হাজির হলেন। সেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আটকে গেলেন। অপর দিকে সালাতের সময় হয়ে গেল। সুতরাং বিলাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আবূ বাকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর নিকট এসে বললেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আটকে গেছেন। এদিকে সালাতেরও সময় হয়ে গেছে। আপনি কি সালাতে লোকেদের ইমামতি করবেন?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, তুমি যদি চাও।’ অতঃপর বিলাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সালাতের ইকামত দিলেন আর আবূ বাকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এগিয়ে গিয়ে (তাহরীমার) তকবীর বললেন লোকেরাও তকবীর বলল। ইতোমধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন এবং কাতারগুলো অতিক্রম ক’রে (প্রথম) কাতারে এসে দাঁড়ালেন। (তা দেখে) লোকেরা হাততালি দিতে শুরু করল। আবূ বাকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সালাতরত অবস্থায় কোন দিকে তাকাতেন না, কিন্তু লোকেদের অধিক মাত্রায় হাততালির কারণে তিনি তাকিয়ে দেখতে পেলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত হয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে হাতের ইশারায় (নিজের জায়গায় থাকতে) নির্দেশ দিলেন। আবূ বাকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাঁর হাত উপরে তুলে আল্লাহর প্রশংসা করলেন। তারপর কিবলার দিকে মুখ রেখে পিছনে ফিরে এসে কাতারে শামিল হলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনে গিয়ে লোকদের ইমামত করলেন এবং সালাত শেষ ক’রে লোকদের দিকে ফিরে বললেন, “হে লোক সকল! কি ব্যাপার যে, সালাত অবস্থায় কিছু ঘটতে দেখে তোমরা হাততালি দিতে শুরু করলে? (জেনে রেখো, সালাতে) হাততালি দেওয়া তো মহিলাদের কাজ। সালাত অবস্থায় কারো কিছু ঘটলে সে যেন ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে। কারণ, এটা শুনলে কেউ তার দিকে ভ্রুপেক্ষ না ক’রে পারবে না। হে আবূ বকর! তোমাকে যখন ইশারা করলাম, তখন ইমামত করতে তোমার কিসের বাধা ছিল?” তিনি বললেন, ‘আবূ কুহাফার ছেলের জন্য সঙ্গত ছিল না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে লোকেদের ইমামত করবে।’ (বুখারী ও মুসলিম)
17- এমন করবে না, যখন তোমাদের কেউ তার ঘরে সালাত আদায় করে তারপর সে ইমামকে পেল যে, সে এখনো সালাত আদায় করেনি, তাহলে সে যেন তার সাথে পূণরায় সালাত আদায় করে। কারণ, তা তার জন্য নফল হবে।
18- হে লোক সকল! তোমরা মানুষের মধ্যে বিরক্তির সৃষ্টি কর। অতএব যে লোকদের নিয়ে সলাত আদায় করবে সে যেন সংক্ষেপ করে। কারণ তাদের মধ্যে রোগী, দুর্বল ও কর্মব্যস্ত লোকও থাকে।
19- জামা‘আতের ইমামতি ঐ ব্যক্তি করবে, যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল কুরআন পড়তে জানে।
20- আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং একজন ইয়াতীম আমাদের ঘরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে সালাত আদায় করি। আর আমার মা উম্মে সুলাইম আমাদের পিছনে। সহীহ বুখারী।
21- আল্লাহ তোমার আগ্রহকে বাড়িয়ে দিন, তবে তুমি এমন আর করো না।
22- উম্মু ওয়ারাকাহ বিনত আব্দুল্লাহ ইবনু হারেস আল-আনসারিয়্যাহ যিনি সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দেন যেন সে তার ঘরের লোকদের ইমামতী করে।
23- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবন উম্মে মাকতুমকে প্রতিনিধি বানিয়েছেন, যে মানুষদের ইমামতি করত, অথচ তিনি অন্ধ ছিলেন।
24- তোমরা তোমাদের পরবিারের কাছে ফিরে যাও এবং তাদের মাঝেই বসবাস কর । তাদেরকে শিক্ষা দান কর এবং তাদেরকে (ভাল কাজের) আদেশ দাও। অমুক সালাত অমুক সময়ে পড়। অমুক সালাত অমুক সময়ে পড়। সুতরাং যখন সালাতের সময় হবে তখন তোমাদের মধ্যে কেউ একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে।