“লোকেরা যতদিন শীঘ্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে”।

“লোকেরা যতদিন শীঘ্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে”।

সাহল ইবনু সা’দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “লোকেরা যতদিন শীঘ্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে”।

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন যে, সুন্নাহের অনুসরণ এবং নির্দিষ্ট সীমায় অবস্থান করতে সূর্য ডুবে যাওয়া নিশ্চিত হওয়ার পর মানুষেরা যতদিন দ্রুত ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।

فوائد الحديث

আন-নববী বলেন, হাদীসটিতে সূর্য ডুবে যাওয়া নিশ্চিত হওয়ার পর দ্রুত ইফতার করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এর অর্থ হল, উম্মত যতদিন এই সুন্নাত সংরক্ষণ করবে তাদের বিষয়গুলো সুসৃঙ্খল থাকবে; যখন তারা তা বিলম্ব করবে তখন সেটি হবে তাদের বিনষ্ট হওয়ার আলামত যেখানে তারা পতিত হবে।

সুন্নাহ অনুসরণের কারণে মানুষের মধ্যে কল্যাণ অব্যাহত থাকে আর সুন্নাহ পরিবর্তন হলে অনেক কিছু বিনষ্ট হয়।

আহলে কিতাব ও বিদআতীদের বিপরীত করা, যেহেতু তারা ইফতার করতে দেরি করে।

ইবনু হাজার বলেন: এতে তার কারণের বয়ান রয়েছে। আল-মুহাল্লাব বলেন: এর হিকমত হল দিনকে রাতের সাথে যোগ করে বৃদ্ধি না করা। কারণ এটি সায়িমের পক্ষে সহজ এবং ইবাদতে তার সক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়। সকল আলিম সম্মত যে, যখন চোখের দেখা অথবা দুই জন সত্যবাদীর সংবাদ অনুরূপ বিশুদ্ধ মতে একজন সত্যবাদীর সংবাদের মাধ্যমে সূর্যাস্ত নিশ্চিত হলে দেরি না করে ইফতার করার বিধান সাব্যস্ত হবে।

ইবনু হাজার বলেন: সতর্কীকরণ: এই সময়ে যে নিন্দনীয় বিদআত উদ্ভাবন করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সিয়াম পালনকারীর উপর খাবার ও পানীয় হারাম হওয়ার নিদর্শন স্বরূপ রমযানে ফজরের এক-তৃতীয়াংশ আগে সালাতের জন্য দ্বিতীয় আযান (ফজরের সালাতের আযান) ও প্রদীপ নিভিয়ে দেওয়া। বিদআত তৈরিকারীর ধারনা এটি ইবাদতে সতর্কতা, যদিও সাধারণ মানুষ তা জানে না। এটি তাদের এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, তারা সূর্যাস্ত শেষে অনেক পর ছাড়া আজান দেয় না, তাদের ধারনায় এটি সময়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া! অতএব ইফতার দেরিতে করে ও সাহরী দ্রুত করে আর সুন্নাতের বিরোধিতা করে। ফলে তাদের ভেতর কল্যাণ কমে গেছে এবং অনিষ্ট বেড়ে গেছে। আল্লাহ সহায়ক।

التصنيفات

সিয়ামের সুন্নতসমূহ