“যে ব্যক্তি এমন কোনো রোগীকে দেখতে যায়, যার মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয় নি, সে যেন তার নিকট বসে এ দু‘আটি সাতবার পাঠ করে,…

“যে ব্যক্তি এমন কোনো রোগীকে দেখতে যায়, যার মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয় নি, সে যেন তার নিকট বসে এ দু‘আটি সাতবার পাঠ করে, “أسأل الله العظيم، ربَّ العرشِ العظيم، أن يَشفيك” অর্থাৎ আমি মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি, যিনি মহান আরশের অধিপতি, যেন তিনি তোমাকে রোগমুক্ত করেন। এ দো‘আর ফলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে রোগমুক্ত করবেন”।

ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি এমন কোনো রোগীকে দেখতে যায়, যার মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয় নি, সে যেন তার নিকট বসে এ দু‘আটি সাতবার পাঠ করে, “أسأل الله العظيم، ربَّ العرشِ العظيم، أن يَشفيك” অর্থাৎ আমি মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি, যিনি মহান আরশের অধিপতি, যেন তিনি তোমাকে রোগমুক্ত করেন। এ দো‘আর ফলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে রোগমুক্ত করবেন”।

[সহীহ]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে, কোন মুসলিম অপর মুসলিমকে তার এমন অসুস্থতার সময় যখন তার মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়নি দেখা করতে যায়। তারপর সাক্ষাতকারী রোগীর জন্য এই বলে প্রার্থনা করেন: (أسأل الله العظيم) (আমি মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি) তিনি তাঁর সত্ত্বায়, গুণাবলী ও কর্মে মহান। (رب العرش العظيم أن يشفيك) (মহান আরশের মালিক, তোমাকে সুস্থ করে দিন) এবং তিনি এটি সাতবার পুনরাবৃত্তি করেন, আল্লাহ তাকে সেই রোগ থেকে অবশ্যই আরোগ্য দিবেন।

فوائد الحديث

অসুস্থ ব্যক্তির জন্য এই দোয়াটি সাতবার পুনরাবৃত্তি করা মুস্তাহাব।

যার নিকট এই দোয়াটি পাঠ করা হবে, আল্লাহর ইচ্ছায় সে সুস্থ হবে, যদি এটি আন্তরিকভাবে ও সৎভাবে বলা হয়।

তিনি এই দোয়াটি নীরবে ও সরবে বলবেন, কারণ এর সবই জায়েয, কিন্তু যদি রোগী তা শুনতে পান, তাহলে সেটাই উত্তম এবং পছন্দনীয়। কারণ এর দ্বারা তাকে আনন্দিত করা হয়।

التصنيفات

শর‘ঈ ঝাঁড়-ফুক