إعدادات العرض
“যখন কোনো মুসলিম কিংবা কোনো মুমিন বান্দা অযু করে অতঃপর সে তার চেহারা ধৌত করে, তখন তার চেহারা হতে পানির সাথে অথবা…
“যখন কোনো মুসলিম কিংবা কোনো মুমিন বান্দা অযু করে অতঃপর সে তার চেহারা ধৌত করে, তখন তার চেহারা হতে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সে সকল গুনাহ বের হয়ে যায় যার দিকে তার দু’চোখের দৃষ্টি পড়েছিল।
আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যখন কোনো মুসলিম কিংবা কোনো মুমিন বান্দা অযু করে অতঃপর সে তার চেহারা ধৌত করে, তখন তার চেহারা হতে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সে সকল গুনাহ বের হয়ে যায় যার দিকে তার দু’চোখের দৃষ্টি পড়েছিল। আর যখন সে তার দু’হাত ধৌত করে, তখন দু’হাত থেকে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সেসব গুনাহ বের হয়ে যায়, যেগুলো তার দু’হাত করেছিল। অতঃপর যখন সে তার দু’পা ধৌত করে তখন তার দু’পা থেকে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সেসব গুনাহ বের হয়ে যায়, যেগুলোর দিকে তার দু’পা অগ্রসর হয়েছিল। ফলে (অযুর শেষে) লোকটি সমুদয় গুনাহ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়ে যায়।”
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी Tiếng Việt සිංහල Hausa Kurdî தமிழ் অসমীয়া Nederlands Kiswahili ગુજરાતી Magyar ქართული Română Português ไทย తెలుగు मराठी دری አማርኛ Malagasy Македонскиالشرح
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন যে, যখন কোনো মুসলিম বা মুমিন ব্যক্তি ওযু করার সময় মুখ ধৌত করে, তখন তার চোখ দিয়ে দেখা সব ছোট গুনাহ ধোয়ার পর পড়া পানির সাথে বা পানির শেষ ফোঁটার সাথে বের হয়ে যায়। যখন সে তার হাত ধৌত করে, তখন তার হাত দ্বারা সংঘটিত সব ছোট গুনাহ পানির সাথে বা পানির শেষ ফোঁটার সাথে বের হয়ে যায়। আর যখন সে তার পা ধৌত করে, তখন তার পা দ্বারা হাঁটার মাধ্যমে সংঘটিত সব ছোট গুনাহ পানির সাথে বা পানির শেষ ফোঁটার সাথে বের হয়ে যায়। এভাবে ওযু শেষ করার মাধ্যমে সে সব ছোট গুনাহ থেকে পবিত্র হয়ে যায়।فوائد الحديث
ওযুর প্রতি যত্নবান হওয়ার ফযীলত এবং এটি গুনাহ মোচন করে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পদ্ধতি ছিল যে তিনি লোকদেরকে ইবাদত ও আনুগত্যের প্রতি উৎসাহিত করতেন সেগুলোর বিনিময় ও প্রতিদানের কথা উল্লেখ করে।
মানুষের প্রতিটি অঙ্গ কিছু না কিছু পাপে জড়িয়ে পড়ে। তাই গুনাহগুলো সেই সব অঙ্গের সাথে সম্পর্কিত হয়, যেগুলো দ্বারা তা সংঘটিত হয়েছে। আর যখন তাওবা করা হয়, তখন সেই সব অঙ্গ থেকে গুনাহ বের হয়ে যায়।
ওযুতে দু্ই ধরনের পবিত্রতা রয়েছে:
বাহ্যিক পবিত্রতা: এটি অর্জিত হয় ওযুর অঙ্গগুলো ধৌত করার মাধ্যমে।
আধ্যাত্মিক পবিত্রতা: এটি অর্জিত হয় সেই সব গুনাহ থেকে, যা ওযুর অঙ্গগুলো দ্বারা সংঘটিত হয়েছে।