শাদ্দাদ বিন আউস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সায়্যিদুল ইস্তিগফার…

শাদ্দাদ বিন আউস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সায়্যিদুল ইস্তিগফার বা শ্রেষ্ঠতম ক্ষমা প্রার্থনার দু‘আ হলো বান্দা বলবে যে, হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া আর কোন সত্য উপাস্য নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা। আমি তোমার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের উপর যথাসাধ্য প্রতিষ্ঠিত আছি। আমি যা করেছি তার মন্দ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আমার উপর তোমার যে নেয়ামত রয়েছে তা আমি স্বীকার করছি এবং আমার অপরাধও আমি স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করো। তুমি ছাড়া আর কেউ পাপ মার্জনা করতে পারে না।

শাদ্দাদ বিন আউস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠতম দু‘আ হলো বান্দা বলবে যে, হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া আর কোন সত্য উপাস্য নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা। আমি তোমার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের উপর যথাসাধ্য প্রতিষ্ঠিত আছি। আমি যা করেছি তার মন্দ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আমার উপর তোমার যে নেয়ামত রয়েছে তা আমি স্বীকার করছি এবং আমার অপরাধও আমি স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করো। তুমি ছাড়া আর কেউ পাপ মার্জনা করতে পারে না।

[সহীহ] [এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংবাদ দেন যে, এ দুআর শব্দগুলো ক্ষমা প্রার্থণা করার বাক্যের সরদারের ন্যায়। আর তার হলো বান্দা এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! তুমিই আমার রব। তুমি ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার দাস। আমি তোমার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের উপর যথাসাধ্য প্রতিষ্ঠিত আছি। আমি যা করেছি তার মন্দ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আমার উপর তোমার যে নেয়ামত রয়েছে তা আমি স্বীকার করছি এবং আমার অপরাধও স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমাকে মার্জনা করো। কেননা তুমি ছাড়া আর কেউ পাপ মার্জনা করতে পারে না। এ দু’আয় বান্দা প্রথমে আল্লাহর তাওহীদের স্বীকৃতি প্রদান করে। সে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন করা ও তাঁর আনুগত্য করার যে প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গিকার করেছে সাধ্যানুযায়ী তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার ঘোষণা করে। তবে বান্দার উপর আল্লাহর যা কিছু প্রাপ্য এবং আল্লাহর জন্য যা কিছু করণীয় বান্দা যতই ইবাদাত বন্দেগী করুক না কেন সে আল্লাহর সব নির্দেশ পালন করতে পারবে না এবং তার উপর নেয়ামতের যে শুকরিয়া আদায় করা ওয়াজিব তা পরিপূর্ণরূপে করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তারপর সে তার কাছেই আশ্রয় চায়, তাঁর নিটকেই আশ্রয় গ্রহণ করে। কারণ, বান্দার মাধ্যমে যে অকল্যাণ হয়, তা থেকে তাঁর নিকটেই আশ্রয় প্রার্থনা করা জরুরী। তারপর বান্দা স্বেচ্ছায় তার উপর আল্লাহর নেয়ামতের স্বীকৃতি প্রদান করে এবং তার গুনাহ ও অপরাধসমূহ স্বীকার করে তার নিজেকেই দায়ি করে। তারপর সে আল্লাহর নিকট দু‘আ করে যাতে তিনি তাকে ক্ষমা করেন, তার গুনাহসমূহ গোপন করেন, ক্ষমা, অনুগ্রহ ও রহমতের মাধ্যমে তাকে তার গুনাহ থেকে রক্ষা করেন। কারণ, তিনি ছাড়া গুনাহ ক্ষমা করার আর কেউ নেই।

التصنيفات

সকাল ও বিকালের যিকির