إعدادات العرض
1- “যে ব্যক্তি সূরা বাকারার শেষ থেকে দুটি আয়াত তিলাওয়াত করল, সে দুটি আয়াত তার জন্য যথেষ্ট হল।”
2- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ভোর করতেন, তখন বলতেন: অর্থাৎ হে আল্লাহ! তোমারই হুকুমে আমাদের সকাল হল এবং তোমারই হুকুমে আমাদের সন্ধ্যা হয়, তোমারই হুকুমে আমরা জীবিত থাকি, তোমারই হুকুমে আমরা মৃত্যু বরণ করব এবং তোমারই দিকে আমাদের পুনর্জীবন। আর যখন তিনি সন্ধ্যায় উপনীত হতেন, তখন উক্ত দোআই বলতেন, তবে (শেষে) বলতেন, আপনার কাছেই প্রত্যাবর্তন।”
3- শাদ্দাদ বিন আউস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সায়্যিদুল ইস্তিগফার বা শ্রেষ্ঠতম ক্ষমা প্রার্থনার দু‘আ হলো বান্দা বলবে যে, হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া আর কোন সত্য উপাস্য নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা। আমি তোমার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের উপর যথাসাধ্য প্রতিষ্ঠিত আছি। আমি যা করেছি তার মন্দ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আমার উপর তোমার যে নেয়ামত রয়েছে তা আমি স্বীকার করছি এবং আমার অপরাধও আমি স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করো। তুমি ছাড়া আর কেউ পাপ মার্জনা করতে পারে না।
4- যখন সকাল কর ও যখন সন্ধ্যায় উপনীত হও তখন ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস) এবং ‘কুল আঊযু বিরাব্বিল ফালাক’ ও ‘কুল আঊযু বিরাব্বিন্নাস’ তিনবার করে পড়। তাহলে প্রতিটি (ক্ষতিকর) জিনিস থেকে নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হবে।
5- যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন সকাল ও সন্ধ্যায় এই দো‘আ তিনবার করে পড়বে, দো‘আটির অর্থ: “সেই আল্লাহর নামে যাঁর নামের সাথে পৃথিবীর ও আকাশের কোনো জিনিস ক্ষতি করতে পারে না এবং তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞাতা।” তাকে কোনো জিনিস ক্ষতি করবে না।
6- আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভ্যাস ছিল: সন্ধ্যায় উপনীত হলে বলতেন: (অর্থ) আমরা ও সারা রাজ্য আল্লাহর জন্য সন্ধ্যায় উপনীত হলাম। সকল প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই।
7- আমি তোমার নিকট থেকে প্রস্থানের পর চারটি কালেমা বলেছি । তুমি আজকে এ পর্যন্ত যা বলেছ তার সাথে ওজন করলে এই কালেমা চারটির ওজনই বেশী হবে । কালেমাগুলো হলো, (অর্থ) “আমি আল্লাহর পবিত্রতা ও প্রশংসা ঘোষণা করছি তার অগণিত সৃষ্টির সমান, তার নফসের সন্তুষ্টি পরিমাণ, তার আরশের ওজনের পরিমাণ ও তার কালেমার সংখ্যার পরিমাণ”।