সকাল ও বিকালের যিকির

সকাল ও বিকালের যিকির

3- “সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার হচ্ছে,* তুমি বলবে যে: اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي، فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ অর্থ: হে আল্লাহ, আপনিই আমার রব, আপনি ছাড়া কোনো সত্য মাবূদ নেই। আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমি আপনার বান্দা, আমি যথাসাধ্য আপনার অঙ্গীকার ও ওয়াদার ওপর আছি, আমি যা করছি তার অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট প্রার্থনা করছি। আমি আমার ওপর আপনার নি‘আমত স্বীকার করছি এবং আমি আপনার সামনে আমার পাপ স্বীকার করছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। কারণ, আপনি ব্যতীত কেউ পাপ ক্ষমা করবে না।” “তিনি বলেন, যে এই কথাগুলোর প্রতি দৃঢ় আস্থা রেখে দিনের কোনো সময় তা বলে, অতঃপর সেদিন সন্ধার আগেই সে মারা যায়, তাহলে সে জান্নাতবাসী। আর যে তার প্রতি দৃঢ় আস্থা রেখে রাতের কোনো অংশে তা বলে, অতঃপর সকাল হওয়ার আগেই সে মারা যায় তাহলে সে জান্নাতবাসী।”

4- এক বর্ষণমুখর রাতে গভীর অন্ধকারে আমাদের কে সলাত পড়ানোর উদ্দেশ্যে আমারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তালাশ করতে বের হলাম। এক স্থানে গিয়ে আমি তাঁকে পেলাম। তখন তিনি বললেন: “বল”, আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বললেন: “বল” আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় তিনি আমাকে বললেন: “বল”। আমি বললাম: কি বলব? তিনি বললেন:@ সকাল-সন্ধ্যায় কুল হুয়াল্লাহু আহাদ এবং মুআওওয়াযাতায়ন (কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক ও কুল আউযু বিরাব্বিন নাস) তিন বার পাঠ করবে; তবে তা সব কিছুর ক্ষেত্রে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।"