আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! কার সঙ্গে আমি অধিক সদ্ব্যবহার করব? তিনি বললেন: “তোমার মায়ের সঙ্গে।” আমি বললাম: এরপর কার…

আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! কার সঙ্গে আমি অধিক সদ্ব্যবহার করব? তিনি বললেন: “তোমার মায়ের সঙ্গে।” আমি বললাম: এরপর কার সঙ্গে? তিনি বললেন: “তোমার মায়ের সঙ্গে।” আমি বললাম: এরপর কার সঙ্গে? তিনি বললেন: “তোমার মায়ের সঙ্গে।” আমি বললাম: পরে কার সঙ্গে? তিনি বললেন: “তারপর পিতার সঙ্গে, এরপর নিকটতম আত্মীয়কে ক্রমান্বয়ে।”

বাহয ইবনু হাকীম তার দাদার সূত্রে তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! কার সঙ্গে আমি অধিক সদ্ব্যবহার করব? তিনি বললেন: “তোমার মায়ের সঙ্গে।” আমি বললাম: এরপর কার সঙ্গে? তিনি বললেন: “তোমার মায়ের সঙ্গে।” আমি বললাম: এরপর কার সঙ্গে? তিনি বললেন: “তোমার মায়ের সঙ্গে।” আমি বললাম: পরে কার সঙ্গে? তিনি বললেন: “তারপর পিতার সঙ্গে, এরপর নিকটতম আত্মীয়কে ক্রমান্বয়ে।”

[হাসান]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন যে মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম যার প্রতি সদাচরণ, অনুগ্রহ, ভালো আচরণ, সুন্দর সহাবস্থান এবং সংযোগ ও সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত, তিনি হলেন মা। তিনি মায়ের অধিকারকে অন্যান্যদের তুলনায় তিনবার পুনরাবৃত্তি করে জোর দিয়েছেন, যাতে সকল মানুষের ওপরে একচ্ছত্রভাবে তার মর্যাদা প্রকাশ পায়। অতঃপর মায়ের পরে কে সদাচরণের বেশী অধিকারী সে ব্যাপারে তিনি বলেছেন: তারপর বাবা, তারপর নিকটাত্মীয়দের মধ্যে যারা যত নিকটবর্তী, তারা তত বেশি সদাচরণ ও সম্পর্ক বজায় রাখার অধিকারী।

فوائد الحديث

হাদিসে মাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, তারপর বাবা, তারপর নিকটাত্মীয়গণ তাদের নৈকট্যের স্তর অনুযায়ী।

মাতা-পিতার মর্যাদা এবং বিশেষভাবে মায়ের মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে।

হাদিসে মায়ের প্রতি সদাচরণের কথা তিনবার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে; কারণ সন্তানের ওপর তার অনুগ্রহ অপরিসীম এবং গর্ভধারণ, প্রসব, স্তন্যপান ও প্রতিপালনের সময় তিনি অনেক বেশী কষ্ট, পরিশ্রম ও কঠিন পরিস্থিতি সহ্য করেন। এসব ক্ষেত্রে মা একাই প্রধান ভূমিকা পালন করেন, তারপর বাবা সন্তানের প্রতিপালনে অংশ নেন।

التصنيفات

পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের ফযীলত