إعدادات العرض
তোমরা কি জান যে, তোমাদের রব কী বলেছেন?” তারা বললেন: আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তখন তিনি বললেন: “আজকে আমার…
তোমরা কি জান যে, তোমাদের রব কী বলেছেন?” তারা বললেন: আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তখন তিনি বললেন: “আজকে আমার বান্দারা কেউ মুমিন আবার কেউ কাফির হয়ে সকাল করেছে।
যাইদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী রদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: রাতভর আসমান থেকে বৃষ্টি হওয়ার পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে হুদাইবিয়াতে ফজরের সালাত আদায় করলেন। সালাত শেষে তিনি লোকদের দিকে ফিরে বললেন: “তোমরা কি জান যে, তোমাদের রব কী বলেছেন?” তারা বললেন: আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তখন তিনি বললেন: “আজকে আমার বান্দারা কেউ মুমিন আবার কেউ কাফির হয়ে সকাল করেছে। যে বলেছে: আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহে আমরা বৃষ্টিপ্রাপ্ত হয়েছি, সে আমার উপরে বিশ্বাস স্থাপনকারী (মুমিন) এবং নক্ষত্রের (প্রভাবের) ব্যাপারে অস্বীকারকারী। আর যে বলেছে: অমুক অমুক তারকার কারণে বৃষ্টি হয়েছে, সে ব্যক্তি আমাকে অস্বীকারকারী (কাফির) এবং নক্ষত্রের উপরে ঈমান আনায়নকারী।”
الترجمة
عربي English မြန်မာ Svenska cs ગુજરાતી አማርኛ Yorùbá Nederlands اردو Español Bahasa Indonesia ئۇيغۇرچە Türkçe Bosanski සිංහල हिन्दी Tiếng Việt Kurdî Hausa മലയാളം తెలుగు Kiswahili ไทย پښتو অসমীয়া Shqip دری el bg ff it kn Кыргызча Lietuvių mg or ro rw Soomaali Српски тоҷикӣ uz नेपाली mosالشرح
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদাইবিয়া -মক্কার নিকটবর্তী একটি গ্রাম-এ ফজর সালাত আদায় করলেন। আর তা ছিল আগের রাতে বৃষ্টি হওয়ার পর। যখন তিনি সালাম ফিরালেন এবং সালাত শেষ করলেন, তখন তিনি তার চেহারা মানুষের দিকে ফিরালেন। এরপরে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন: তোমাদের মহান প্রতাপশালী রব কী বলেছেন, তা কি তোমরা জান? তখন তারা জবাব দিলেন: আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই সবচেয়ে ভালো জানেন। তখন তিনি বললেন: নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করে দিয়েছেন যে, বৃষ্টি হলে মানুষ দু’ভাগে ভাগ হয়ে পড়ে: একটি দল আল্লাহর উপরে বিশ্বাসী আর অপর দল আল্লাহ তা‘আলার ব্যাপারে অবিশ্বাসী। সুতরাং যে ব্যক্তি বলবে: আমরা আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহে বৃষ্টিপ্রাপ্ত হয়েছি, আর বৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তা‘আলার দিকেই সম্পৃক্ত করবে; সে ব্যক্তি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ব্যাপারে বিশ্বাস স্থাপনকারী (মুমিন) এবং নক্ষত্রের (প্রভাবের) ব্যাপারে অস্বীকারকারী। পক্ষান্তরে যে বলবে: আমরা অমুক অমুক তারকা বা গ্রহের কারণে বৃষ্টিপ্রাপ্ত হয়েছি; সে ব্যক্তি আল্লাহকে অস্বীকারকারী এবং নক্ষত্রের উপরে বিশ্বাস স্থাপনকারী। কেননা আল্লাহ নক্ষত্রকে শরী‘আতের দিক থেকে অথবা তাকদীরের দিক থেকে কোন রকম কারণ হিসেবে নির্ধারণ করেননি। অন্যদিকে যে ব্যক্তি বৃষ্টি ও অন্যান্য প্রকৃতির ঘটনাগুলোকে গ্রহ-নক্ষত্রের উদয় ও অস্ত:জনিত গতিবিধির সাথে সম্পৃক্ত করে, এ বিশ্বাসে যে, সেগুলোই প্রকৃত কর্তা, তাহলে সে বড় ধরণের কাফির।فوائد الحديث
বৃষ্টি হওয়ার পরে এ কথা বলা মুস্তাহাব: “আমরা আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহে বৃষ্টিপ্রাপ্ত হয়েছি।”
যারা বৃষ্টিপাত ও অন্যান্য নি‘আমাতকে সৃষ্টিগতভাবে গ্রহ-নক্ষত্রের দিকে সম্পৃক্ত করে, তারা বড় ধরনের কুফরে জড়িত কাফির। আর যদি সেগুলোকে কারণ মনে করে সম্পৃক্ত করে, তাহলে সে ছোট কুফরে জড়িত ব্যক্তি; কেননা সেটি শর‘য়ী অথবা বস্তুগত কোন কারণ নয়।
নি‘আমাত কুফরের কারণ, যদি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। আবার তা ঈমানের কারণ, যদি তার শুকরিয়া আদায় করা হয়।
এ কথা বলা নিষিদ্ধ: “অমুক অমুক গ্রহের কারণে আমরা বৃষ্টিপ্রাপ্ত হয়েছি।” যদিও সে তা সময়কে উদ্দেশ্য করে বলে, তবৃুও শিরকের পথ উন্মুক্ত হওয়ার আশঙ্কায় তা বর্জনীয়।
নি‘আমাত প্রাপ্ত হওয়া ও দুঃখ-কষ্টে পতিত হওয়ার সময়ে অন্তরকে আল্লাহ তা‘আলার সাথে সংযুক্ত রাখা আবশ্যক।